জাতীয় ডেস্ক :
শেরপুর সদরে বড় বোনের সামনে ছোট বোনকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার লছমনপুর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে হাফিজুর রহমান মন্টু ও একই ইউনিয়নের হাতি আগলা গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়া।
এদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুইদিন আগে শেরপুর পৌর এলাকার চকপাঠক মহল্লায় গাজিপুর থেকে ১৮ বছর বয়সের ছোট বোন বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন। বিকেলে বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে ছোট বোন উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে চর্ম রোগের চিকিৎসার জন্য হাবিবুল্লাহ সাধু নামে এক কবিরাজের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন।
কবিরাজের বাড়ির কাছাকাছি একটি লেবু বাগানের ভেতর দিয়ে যাবার সময় সন্ধ্যায় হাফিজুর রহমান মন্টু এবং আলম মিয়া তাদের গতিরোধ করে বড় বোনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে জোরপূর্বক ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় বড় বোনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ওই লেবু বাগানের এক কোণে ঝোপের কাছ থেকে ছোট বোনকে উদ্ধার করে। তখন সে জানায়, ওই দু’জন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার বড় বোন বাদী হয়ে রাতেই শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিয়ে নয়াপাড়া গ্রাম থেকে হাফিজুর রহমান মন্টুকে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের আলামাত সংগ্রহ করে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।