হোম অন্যান্যসারাদেশ ব্যাংক থেকে ভিক্ষুকের ৯৩ হাজার টাকা লুট, আটক হয়নি কেউ

ব্যাংক থেকে ভিক্ষুকের ৯৩ হাজার টাকা লুট, আটক হয়নি কেউ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 19 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
কুষ্টিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে নুরজাহান খাতুন (৬৫) নামে এক নারী ৯৩ হাজার টাকা প্রতারকের কাছে খুইয়েছেন। ওই প্রতারক টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার দুদিন পার হয়ে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তিনি শহরের মিলপাড়া চাউলের বর্ডার এলাকার মৃত, ককিল উদ্দিন শেখের স্ত্রী। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করেন তিনি।

পুলিশ বলছে, ব্যাংকের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে প্রতারককে আটক করার চেষ্টা করছে তারা। এদিকে ভিক্ষা করে জমানো টাকা খোয়া যাওয়ায় ভিক্ষুক নুর জাহানের কান্না যেন থামছেই না।

জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শাবানা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে শহরের বড়বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখায় গিয়েছিলেন নুরজাহান। ভিক্ষা করে জমানো টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য খুলতে চেয়েছিলেন নতুন হিসাব নম্বর। কাগজপত্র ঠিক করে কর্তৃপক্ষ তাঁর টিপসইও নেয়। একপযার্য়ে বেলা ১২টার দিকে সেখান থেকে নুর জাহানের টাকা জমা দেওয়ার কথা বলে এক প্রতারক ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে জমা না দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় কালো রঙের সোয়েটার, নীল প্যান্ট ও কালো জুতা পরা ছিল ওই প্রতারকের।

ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন কান্না করতে করতে বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই মা-মেয়ে একসঙ্গেই থাকি শহরের মিলপাড়া চাউলের বর্ডার এলাকায়। ভিক্ষাবৃত্তি করেই এই টাকাগুলো গুছিয়ে ছিলাম। বাড়িতে টাকা রাখলে চুরি হয়ে যেতে পারে বলে ব্যাংকে টাকাগুলো রাখার জন্য মা–মেয়ে সকালে ব্যাংকে গিয়েছিলাম। পরে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক লোক টাকা জমা দিতে বলে আমার কাছ থেকে ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

বৃদ্ধা নুরজাহান আরও বলেন, ‘শেষ সম্বলও নিয়ে গেল প্রতারক। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি মানুষের কাছ থেকে নেওয়া ভিক্ষাবৃত্তি করে আমার এই গচ্ছিত টাকাগুলো উদ্ধারে কাজ করবেন। এই টাকাগুলো পেলে আমি আমার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে জীবনযাপন করতে পারব। তাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে টাকাগুলো উদ্ধারে সহযোগিতা চাই।’

অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়ার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ‘ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন থানায় জিডি করেছেন। ওই চোরকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন