হোম খেলাধুলা বেলিংহ্যামকে ‘বাজে কথা’ শেখাচ্ছেন দুই রিয়াল সতীর্থ!

স্পোর্টস ডেস্ক:

ডেভিড বেকহ্যামের বিদায়ের পর দীর্ঘদিন আর কোনো ইংলিশ তারকাকে রিয়ালের সাদা জার্সিতে দেখা যায়নি। অবশেষে চলতি দলবদলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে রিয়ালে নাম লিখিয়েছেন প্রতিভাবান তরুণ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি’তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাবে যোগ দিয়ে তিনি এখন মাঠে নামার অপেক্ষায়। ক্লাবের সতীর্থদের কাছে এরই মধ্যে নিচ্ছেন নানা দীক্ষা।

চলতি দলবদলে ১০৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে রিয়াল দলে ভিড়িয়েছে ২০ বছর বয়সী বেলিংহামকে।গত মৌসুমে বুন্দেসলিগার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া এই ইংলিশ তরুণ এই সময়ের সেরা তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। এরই মধ্যে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজেকে। এখন রিয়ালের তারকাবহুল মিডফিল্ডে নিজেকে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন বেলিংহাম।

ইংলিশ ফুটবলারদের জন্য লা লিগায় মানিয়ে নেওয়া বরাবরই একটু কঠিন। রিয়ালে তো একটু বেশিই কঠিন। তাই তো ডেভিড বেকহ্যামের পর দীর্ঘদিন ক্লাবটিতে ছিলেন না কোন ইংলিশ ফুটবলার। ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা এর অন্যতম কারণ। তাই রিয়ালে মানিয়ে নিতে এরই মধ্যে স্প্যানিশ ভাষার দীক্ষা নেওয়া শুরু করেছেন বেলিংহাম। কঠিন প্রশিক্ষণের ফাঁকেই সতীর্থদের কাছে স্প্যানিশ ভাষার টুকিটাকি ধারণা নেন তিনি। আর এই সুযোগটা নিয়ে কেউ কেউ তাকে দীক্ষা দিচ্ছে বাজে কথারও। সতীর্থদের থেকে স্প্যানিশ গালিও শিখছেন বেলিংহাম। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এমনটাই। সেই সঙ্গে ফাঁস করে দিয়েছেন তাকে বাজে কথা শেখানো সতীর্থের নামও।

রিয়াল মাদ্রিদ টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘লুকাস ভাসকেজ ও ব্রাহিম দিয়াজ সম্ভবত আমার সবচেয়ে বড় স্প্যানিশ শিক্ষক। সবাই সাহায্য করছে এবং আমাকে বাজে কথা শেখাচ্ছে। আমি তাদের এসব ফিরিয়ে দিতে আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’

তবে শুধু স্প্যানিশ ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন বা গালাগালিই নয়, সতীর্থদের থেকে আরও ভালো খেলার শিক্ষাটাও পাচ্ছেন বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডে আছেন টনি ক্রুস, লুকা মদ্রিচের মতো কিংবদন্তি মিডফিল্ডার। আছেন শুয়েমিনি, কামাভিঙ্গাদের মতো সময়ের সেরা তরুণ মিডফিল্ডাররাও। তাদের থেকে বেলিংহাম পাচ্ছেন মাঝমাঠের খেলার নান কলাকৌশল সম্পর্কেও ধারণা। এরই মধ্যে তার জার্মান সতীর্থ টনি ক্রুসের প্রতি জড়িয়ে পড়েছেন মুগ্ধতায়।

বেলিংহাম বলেন, ‘টনি ক্রুস প্রকৃতই একজন গুরু। আমি তার বল পাসের ক্ষেত্রে একটা জিনিস লক্ষ করেছি। বল সবসময় সেখানেই ড্রপ খায় তিনি যেখানে পাঠাতে চান। মাঠের বাইরে থেকে দেখার চেয়ে কাছাকাছি বসে ক্রুসকে দেখাটা বেশি আনন্দের। তার কাছে থেকে বল পাস পাওয়াটা আসলেই দারুণ, আমি কী করতে পারি এটাও তাকে দেখাতে চাই, এবং দেখতে চাই আমাদের স্কিল কতটা মিলে যায়।’

প্রাক-মৌসুমের প্রস্তুতি হিসেবে রিয়াল এসি মিলান, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বার্সেলোনা ও য়্যুভেন্তাসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে। এই ম্যাচগুলোতে সুযোগ পাবেন বলে আশা করছেন বেলিংহাম।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন