রাজনীতি ডেস্ক:
রাজধানীর বেইলি রোডের ঘটনায় দায় কে নেবে এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) সালমা ইসলাম।
রোববার (০৩ মার্চ) সংসদে জাতীয় পার্টির (জাপা) সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য এসব কথা বলেন।
সালমা ইসলাম বলেন, ভবন নির্মাণের সময় বিল্ডিং কোড মানা হয়নি, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না, ইত্যাদি কথা বলে সব সময় অগ্নিকাণ্ডের দায় এড়ানো চেষ্টা চলে। কিন্তু বেইলি রোডের ঘটনায় দায় কে নেবে?
তিনি আরও বলেন, দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ, লাগামহীন গতিতে বেড়েই চলছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ডলার সংকট বাড়ছে, রিজার্ভ নিম্নমুখী হচ্ছে। আবার তারল্য সংকটে ব্যাংকগুলো রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে শিল্প ঋণ সহজ করার কথা বলেন।
আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূলের লাগাম টেনে ধরার কথাও বলেন সালমা ইসলাম।
এদিকে বেইলি রোডের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দবি জানিয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মেহের আফরোজ চুমকি। আর বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
গতকাল শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার ও চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টের মালিকসহ চার জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে নেয়া চারজন হলেন: কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জিসান, চায়ের চুমুক রেস্টুরেন্টের মালিক আনোয়ারুল হক, শাকিল আহমেদ রিমন ও গ্রিন কোজি কটেজের ম্যানেজার হামিদুল হক বিপুল।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া জানান, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতের ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো ৪৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। আহত ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। বাকিদের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে ১৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।