অনলাইন ডেস্ক :
টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে রাজধানী ঢাকার অর্ধশতাধিক এলাকায়। পানি নিষ্কাশনের অধিকাংশ চ্যানেল অকার্যকর হয়ে পড়ায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ফলে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে মানুষের বাসাবাড়ি ও দোকানপাটেও পানি উঠে যাচ্ছে। সড়কে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কাজেও যোগ দিতে পারছেন না কর্মব্যস্ত মানুষ। এ অবস্থায় বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এসব এলাকার বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিচ্ছিন্ন পরিকল্পনা নয়, বরং কোন এলাকার পানি কোন পথ দিয়ে বের করে দিতে হবে, তা নিয়ে সব সংস্থাকে একসঙ্গে একটি মহাপরিকল্পনা করতে হবে।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
মিরপুর সাংবাদিক কলোনি:
মিরপুর সাংবাদিক কলোনি এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে। বৃষ্টিতে এলাকার বিভিন্ন অলিগলি তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতা নিরসনে গত বছর খালটি পরিষ্কার করে ডিএনসিসি। পাশাপাশি খালটির সঙ্গে বাউনিয়া খালের সংযোগ স্থাপন করে। বর্তমানে খালটি আবারও ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। ফলে এ বর্ষায়ও আবার পুরনো চিত্র দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া:
কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প গ্রহণ করেছে ঢাকা ওয়াসা। তবে এখনও কাজ শেষ হয়নি। ফলে এই বর্ষায়ও স্থানীয় এলাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
সেনপাড়া-মনিপুরীপাড়া:
দুই দিনের বৃষ্টিতে মিরপুরের সেনপাড়া ও মনিপুরীপাড়ায় ব্যাপক পানি জমেছে। এলাকার ড্রেনেজ লাইনগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর থাকায় পানি জমতে থাকে। ফলে এখনও সেনপাড়া, মনিপুরীপাড়া ও দক্ষিণ মনিপুরীপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
জানতে চাইলে স্থানীয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসমাইল মোল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই এলাকার সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। এখনও পানি রয়েছে। সকালে ডিএনসিসি মেয়র এসেছেন। তিনি সারাদিন ছিলেন। এখানে ওয়াসার যে ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে আমরা তার সঙ্গে লাইন সংযোগ করে দিচ্ছি। এর ফলে মনিপুরীপাড়ার সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু দক্ষিণ মনিপুরিপাড়ায় পানি থেকে যাবে।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
তেজতুরী বাজার:
বৃষ্টি হলেই বসুন্ধরা সিটির পেছনে অবস্থিত তেজতুরী বাজারের গার্ডেন রোড এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এছাড়া পূর্ব রাজাবাজার, পশ্চিম রাজাবাজার, কাঁঠালবাগান ও গ্রিন রোড এলাকায় পানি জমে পড়ে। এ কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন ও জীবিকা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। জানতে চাইলে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান বলেন, সকালের বৃষ্টির কারণে আমার এলাকায় একটু পানি জমেছে। কিন্তু বৃষ্টি একটু বেশি হলে তেজতুরী পাড়ার অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভারী বৃষ্টি হলে হাতিরঝিলের গেটগুলো সব পানি কাভার করতে পারে না। তখন এলাকা তলিয়ে যায়।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
হাতিরঝিলের আশপাশ:
হাতিরঝিল প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল যানজট নিরসনের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে জলাবদ্ধতা দূর, বন্যা প্রতিরোধ, ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। কিন্তু এখন জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পটির কোনও ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। উল্টো হাতিরঝিলের কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরের বড় অংশজুড়ে জলজট দেখা দিচ্ছে। জানা গেছে, ৯টি মেকানিক্যাল স্ক্যানারের মাধ্যমে ঝিলের আশপাশের এলাকার বাসাবাড়ির ও বৃষ্টির পানি ঢাকা ওয়াসার ড্রেনের মাধ্যমে হাতিরঝিলে অপসারিত হয়। কিন্তু নগরজুড়ে ৫০ মিলিমিটারের ওপরে বৃষ্টি কিংবা টানা বর্ষণ হলে এই স্ক্যানারগুলো পানির চাপ সামলাতে পারে না। তখন পানি জমাট বেঁধে পুরো এলাকা তলিয়ে যায়।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
রামপুরা মীরবাগের বাসিন্দা বিলকিছ ইরানি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মীরবাগের নতুন রাস্তাসহ কয়েকটি গলি, বাসার নিচতলা পানির নিচে। কিছুতেই সরছে না। উল্টো বাড়ছে। ওয়াসা বা সিটি করপোরেশনকে ফোন করেছি কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সকাল পর্যন্ত কয়েকবার বাসার পানি সেচে ফেলেছি। কিন্তু আবার পানি ঢুকে যাচ্ছে।
মেরুল বাড্ডা:
বৃষ্টি হলেই মেরুল বাড্ডা এলাকার নিমতলী, আনন্দনগর ও বৈঠাখালী এলাকা তলিয়ে যায়। সড়ক থেকে শুরু করে আসপাশের বাসাবাড়ি এবং দোকানপাটেও পানি উঠে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত সাহা জয় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বৃষ্টির কারণে দোকানপাটেও পানি উঠে যাচ্ছে। জিনিসপত্র, ফার্নিচারসহ সব নষ্ট হচ্ছে, রান্না খাওয়াও মুশকিল হয়ে গেছে। আমাদের বিল্ডিংয়ে নিচতলার ফ্ল্যাটসহ রাস্তা, গ্যারেজ, উঠানসহ সব জায়গায় পানি রয়েছে। সেচেও পানি কমানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, গত বছর এলাকার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ড্রেনগুলোও মোটা করা হয়েছে। কিন্তু এ বছর গত বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি পানি জমছে।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
ধানমন্ডি সাতাশ:
বৃষ্টিলেই ছোট নদীতে পরিণত হয় রাজধানীর ধানমন্ডি সাতাশ নম্বরসহ আশপাশের পুরো এলাকা। ফলে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় সড়কে সাগরের মতো পানি ঢেউ উঠে। বিভিন্ন সময় যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়তেও দেখা গেছে। ফলে সড়কটিতে তীব্র যানজট লেগেই থাকে।
ডিএসসিসির এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ধানমন্ডি-২৭, রাপা প্লাজা, ধানমন্ডি-৮/ এ স্টাফ কোয়ার্টার মোড়, কাঁঠালবাগান, গ্যাস্ট্রোলিভার গলি, কলাবাগান ডলফিন গলি, গ্রিনরোড, পানি নিষ্কাশন হয় পান্থপথ বক্স কালভার্ট-হাতিরঝিল হয়ে রামপুরা খাল দিয়ে বালু নদীতে। কিন্তু হাতিরঝিলে পানি প্রবেশের দরজাগুলো অনেকটা বন্ধ থাকায় এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
আজিমপুর-নিউমার্কেট:
গত দুই দিনের বৃষ্টিতে আজিমরপুর থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত সড়কে জমে যায়। এই পানি আশপাশের বাসাবাড়ি ও দোকানপাটেও ঢুকে পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এই এলাকাবাসীকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিউমার্কেট পশ্চিম-দক্ষিণ পাশের বটতলা, বিজিবি-৪ নম্বর গেটের পানি বিজিবি ৩ নম্বর গেট, নাজিমউদ্দিন রোড, হোসেনি দালান, চকবাজার, লালবাগ, কাজী আলাউদ্দিন রোড ও বংশালের পানি নিষ্কাশন হয় বুড়িগঙ্গা স্লুইসগেট হয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার ড্রেনগুলো অকার্যকর রয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা কমছেই না।
পুরান ঢাকা:
পুরান ঢাকার বঙ্গবাজার এলাকা, সিদ্দিকবাজার মোড়, নাজিরাবাজার, নাজিম উদ্দিন রোড ও আলুবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পনি জমে রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ডিএসসিসি জানিয়েছে, বড় সারফেস ড্রেন ও পাইপ ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মিয়াজান গলি, মাদ্রাসার গলি, ঋষিপাড়া, কেএম দাস লেন সংলগ্ন রাস্তা, আরকে মিশন রোড, অভয়দাস লেন, গোপীবাগ বাজার রোড এলাকায় নতুন ড্রেনেজ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। পাইপ ড্রেন ও সারফেস ড্রেনের সঙ্গে ইন্টারকানেকশন সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও এলাকা থেকে খুব সহজে বৃষ্টির পানি নামছে না।
আরামবাগ-ফকিরাপুল-মতিঝিল:
ডিএসসিসি’র এলাকা নিয়ে করা এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, সেগুনবাগিচা, পল্টন, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, সার্কিট হাউজ রোড, রাজারবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরাপুল ও আরামবাগের পানি সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট-কমলাপুর পাম্প-মানিক নগর খাল-জিরানি খাল ও মাণ্ডাখাল হয়ে বালু নদী ও বুড়িগঙ্গায় চলে যায়। কিন্তু কমলাপুরে অবস্থিত ওয়াসার পাম্পের ক্যাপাসিটি বেশি নয়। তাই এই বৃষ্টি হওয়ার পর এলাকার পানি নিষ্কাশন হতে সময় লেগে যায়। ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
কাপ্তানবাজার, লক্ষ্মীবাজার ও আগামাসী লেনের পানি নিষ্কাশন হয় ইংলিশ রোড-ধোলাইখাল বক্স কালভার্ট হয়ে সূত্রাপুর পাম্পে। জুরাইন, পোস্তগোলা, মুরাদপুর, শ্যামপুর, কদমতলা ও দয়াগঞ্জ রেল ব্রিজের পানি নিষ্কাশন হয় জিয়া সরণি খাল-রসুলবাগ-শিমরাইল পাম্প (পানি উন্নয়ন বোর্ড) হয়ে শীতলক্ষ্যায়। এছাড়া মীর হাজীরবাগ এলাকার পানি নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা নেই।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
রাজারবাগ:
রাজারবাগের মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারে ওঠার আগেই পুলিশ লাইনের সামনে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। গত দুই দিনে এতে হাঁটুর উপরে পানি জমেছে। গত দুই দিন এই এলাকায় বেশ কয়েকটি যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়তে দেখা গেছে। তাছাড়া এলাকায় সিটি করপোরেশনের ড্রেন নির্মাণ করা হলেও এখনও জলাবদ্ধতার সমাধান হয়নি।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
কেন এই জলাবদ্ধতা
ডিএসসিসি এলাকার জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্থার প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গোপীবাগে ঢাকা ওয়াসার তিনটি পাম্প রয়েছে। এগুলোর প্রতিটির সক্ষমতা প্রতি ঘণ্টায় ১৮ হাজার কিউবিক মিটার। সচিবালয়, গুলিস্তান ও বঙ্গভবনসহ আশপাশের এলাকায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে এসব পাম্প দিয়ে যে পরিমাণ পানি অপসারণ করা যায় তাতে জলজট হবে না। এর বেশি হলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গতকাল ৮৪ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে আশপাশের এলাকায় জলজট দেখা দিয়েছে। ভারী বর্ষণের পানি দ্রুত নিষ্কাশন করতে হলে ওয়াসার পাম্পের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে।
রাজধানীতে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য সাড়ে ৮ কিলোমিটার বক্স কালভার্ট এবং ৩৫০ কিলোমিটার স্টর্ম সুয়ারেজ লাইন রয়েছে। বৃষ্টির পানি এই দুই মাধ্যমে বিভিন্ন নিচু এলাকা, জলাশয়, খাল বা নদীতে গিয়ে পড়ে। বক্স কালভার্ট ও ড্রেন দেখাশোনার দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। পাশাপাশি ঢাকায় প্রায় ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এর মধ্যে দুই সিটি করপোরেশনের ২ হাজার এবং ওয়াসার ৪০০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এই ড্রেনের মাধ্যমেই বৃষ্টির পানি বক্স কালভার্ট বা স্টর্ম সুয়ারেজ লাইনে নিয়ে ফেলা হয়।
জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঢাকাকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে হলে বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিকল্পনা দিয়ে জলাবদ্ধতার সাময়িক সমাধান হলেও টেকসই সমাধান হবে না। কোন এলাকার পানি কোন পথ দিয়ে কীভাবে আউট করতে হবে সে বিষয়ে আগে সব সংস্থার যৌথ পরিকল্পনা করতে হবে। এরপর কাজ শুরু করতে হবে। তা না হলে একেক এলাকা নিয়ে একেক বছর সমস্যায় থাকতে হবে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থানা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে। আমরা বছর বছর খালগুলো পরিষ্কার করে থাকি। শ্যাওড়াপাড়া এলাকায় ড্রেন নির্মাণ হচ্ছে। আর ঢাকার উন্মুক্ত জায়গা নেই বললেই চলে। যে কারণে বৃষ্টি হলেই সেই পানি বাসাবাড়ির ছাদ হয়ে রাস্তায় চলে আসে। এই পানিগুলো আবদ্ধ করে রাখার মতো কোনও উন্মুক্ত জায়গা নেই। যদি থাকতো তাহলে কিছু পানি ভূগর্ভে চলে যেতো। বাকি পানি ড্রেন ও নালা দিয়ে খাল হয়ে আশপাশের নদীতে চলে যেতো। তখন জলাবদ্ধতা হতো না। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃত্রিমভাবে ড্রেন নির্মাণ করে সেগুলো সচল রাখতে হচ্ছে।’
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে আজ বুধবার (২২ জুলাই) জরুরি সভা ডেকেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।