হোম অন্যান্যসারাদেশ বুড়িগোয়ালিনী এলজিইডি রাস্তা নির্মাণে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সুবিধার্থে ২০০০ হাজারের অধিক গাছ কেটে সাবাড়

বুড়িগোয়ালিনী এলজিইডি রাস্তা নির্মাণে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সুবিধার্থে ২০০০ হাজারের অধিক গাছ কেটে সাবাড়

কর্তৃক
০ মন্তব্য 108 ভিউজ

শ্যামনগর সংবাদদাতা :

শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাবাটি দুই কিলোমিটার এলজিইডি কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণের জন্য ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সুবিধার্থে রাস্তার পাশে থাকা ছোট বড় দুই হাজারের অধিক গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে রাস্তা নির্মাণকারী সংশ্লিষ্টরা। সরকারিভাবে বিভিন্ন পর্যায় গাছ লাগানোর ক্যাম্পিং চালানো হচ্ছে কিন্তু সেটা না করে তার পরিবর্তে হয়ে থাকা গাছ নষ্ট মেতে উঠেছে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণ কারীরা এছাড়া এই সুযোগে সুবিধাবাদী কিছু স্থানীয়রা বাড়ির সামনের গাছগুলো কেটে নিয়েছে তবে ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশে কেটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

রাস্তার গোড়া থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগও উঠেছে। ডালিম ঘরামি সহ স্থানীয়দের অভিযোগ উপকূলীয় অঞ্চল দুর্যোগ প্রবণ এলাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করতে গাছের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ বাঁচাতে গাছ আমাদের কে অনেক সহযোগিতা করে থাকে এই যে গাছ কাটা হয়েছে। গাছগুলো ১০-১৫ বছরে আর লাগানো সম্ভব হবে না।

রাস্তা নির্মাণ করতে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সুবিধার্থে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সে লাগানো গাছ ভেকু মেশিন দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে দিয়েছে। তবে কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা একজন বলেন আমরা শুধুমাত্র দুই একটা গাছ কেটেছে বাকি গাছগুলো যাদের বাড়ির সামনে তারাই কেটে নিয়েছেন। গাছ কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নুরুল হক মোল্লা বলেন, আমর গাছ কাটতে যাব কেন মাটির তলার কারণে দুই একটা গাছের ডাল কাটতে পারে। তাই বলে ২০০০ গাছ আমরা কাটেনি।

স্থানীয় লোকজন গাছগুলো কেটে নিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাবু ভবতোষ কুমার বলেন, দীর্ঘদিন পর রাস্তাটি কার্পেটিং হচ্ছে তবে মাটি কাটার কারণে যদি গাছ কাটা হয় তাহলে সেটা দুঃখজনক বিষয়টি আমি স্পটে যে দেখে ব্যবস্থা নেব। এলজিইডির শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি যদি গাছ কাটা হয় তাহলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজার গিফারি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি দ্রুত পদক্ষেপ নিব যাতে গাছগুলো আর না কাটে। স্থানীয়দের দাবি যাদের ইন্ধনে পরিবেশ নষ্ট করে দুর্যোগের ঝুঁকি রেখে গাছগুলো ।কেটেছে প্রশাসনিকভাবে তদন্ত করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন