খেলার সংলাপ:
এখনও বেশ ভালোভাবেই বিশ্বকাপের বিবেচনায় আছেন জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুব। শুধু ধ্রুবই নন, বিশ্বকাপের জন্য করা ২৪ ক্রিকেটারের প্রাথমিক পুলে আছেন নাঈম শেখ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে তাদের স্কোয়াডে ফিরতে হলে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে ডিপিএলে সুপার লিগের ম্যাচে। বিশ্বকাপের পাশাপাশি আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজ নিয়ে এখই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন নান্নু-বাশার-রাজ্জাকের নির্বাচক প্যানেল।
বিশ্বকাপের বাকি এখনও ঢের কিন্তু নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা দল নিয়েই এবার ভারত যাত্রার অপেক্ষা। সেই বিমানের টিকেট মিলবে কার, কে পড়বেন বাদ তাই নিয়েই যত যল্পনা কল্পনা।
যদিও বোর্ড সভাপতি থেকে নির্বাচক প্যানেল, সবারই সাফ কথা। এশিয়া কাপের দল ঘোষণার আগে স্কোয়াড নিয়ে চলবে পরীক্ষা নিরীক্ষা। কিন্তু ওয়ানডে দল মোটামুটি চূড়ান্ত হওয়ায় সেখানে ব্যবচ্ছেদের খুব একটা সুযোগ নেই মোটেও।
তবে কি কপাল পুড়ছে আফিফ হোসেন ধ্রুব কিংবা সিনিয়র ক্যাম্পেইনার রিয়াদের। ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে ডিপিএলে রানের বন্যা বইয়ে দেয়া নাঈম শেখের ভাগ্যেই বা কী আছে ?
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সিরিজ ছাড়াও আফগানিস্তান সিরিজ ও এশিয়া কাপ আছে। প্রত্যেকটা সিরিজ নিয়ে এখন চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। এত বেশি খেলা যে ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে চিন্তা করতে হয়। ২৪ জন খেলোয়াড় নিয়ে পুল করা হয়েছে। সুতরাং এখানে পার্টিকুলার কেউ না, যারা আছে সবাইকে বিশ্বকাপের জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউই চোখের আড়াল হচ্ছে না। যাকে যখন প্রয়োজন মনে করব, দলে ডাকা হবে।’
মূল দলে মুস্তাফিজ-শরিফুল থাকার পরেও তাসকিনের ইনজুরিতে কপাল খুলে যাওয়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর সুযোগ মিলবে কিনা চেমসফোর্ডে তা বলে দেবে সময়ই। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে পেস ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করতে ইঙ্গিত মিলল সম্ভাব্য সবাইকে বাজিয়ে দেখার।
নান্নু বলেন, ‘ পেসারদের ইনজুরি সমস্যা অনেক বেশি। সে জন্য আমাদের ৮-৯ জন খেলোয়াড়কে সব সময় তৈরি করে রাখতে হয়। এখানে আমাদের কিছু নাম্বার অব পেস বোলারদের জন্য একটা পুল করেছি। ওদেরকেও ওইভাবে তৈরি করা হচ্ছে।’
তবে সাদা বলের ক্রিকেটের ডামাডোলেও সাদা পোশাকেও দৃষ্টি নির্বাচক প্যানেলের। আসন্ন আফগান সিরিজ কিংবা ২০২৪ ক্যালেন্ডারকে সামনে রেখে এ ও এইচপি ইউনিটকে ঘিরে এখনই পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তারা।
তিনটি চার দিনের ম্যাচ খেলতে আগামী ১১ মে বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দল। আর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আফগানিস্তান বাংলাদেশে আসবে জুনে।