খেলাধুলা ডেস্ক :
ছয় বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নামের প্রতি কখনোই সেভাবে সুবিচার করতে পারেননি লিটন কুমার দাস। সাম্প্রতিক ফর্মও নেই পক্ষে। তবুও ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের আস্থাভাজন লিটন। বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য থাকার কারণেই টাইগারদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অন্য ক্রিকেটারদের মাঝেও আলাদাভাবে নজর থাকবে এই ওপেনারের ওপর।
পঞ্চপাণ্ডব পরবর্তী প্রজন্মের যে ক’জনকে দেশের ক্রিকেটের কাণ্ডারি ধরা হয়, লিটন দাস তাদের মধ্যে অন্যতম। শুধু অন্যতমই নন, তার মাঝে ভবিষ্যতের দলনেতা ভাবও খুঁজে পান অনেকে। কিন্তু সে আস্থার প্রতিদান কতটুকুই বা দিতে পেরেছেন লিটন- প্রশ্ন উঠতেই পারে।
পাওয়ার প্লের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচয় পাওয়া এই ওপেনারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ব্যাটে রানখরা। ২০২০ সালের ১১ মার্চ ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসটাই লিটন দাসের সবশেষ টি-টোয়েন্টি ফিফটি। এর পরের ৮ ইনিংসে তার মোট রান ৭৫, সর্বোচ্চ ৩৩।
২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়ার পর ৩৮ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রায় ১৩০ স্ট্রাইকরেটটাই আশা জাগানিয়া লিটন দাসের। কিন্তু বিশের নিচে গড় আর ৪ ফিফটি- সে আশার পালে হাওয়া দেয় না। প্রতিপক্ষ কিংবা কন্ডিশন অনুকূলে না থাকলেই যেন নড়বড়ে তিনি। ভালো শুরুর পরও অপ্রয়োজনীয় শটে উইকেট বিলিয়ে দেয়ার প্রবণতা প্রায়ই দেখা যায় তার মাঝে। তবে বড় মঞ্চে ওঠার আগে এসব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন লিটন। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে আছে বাড়তি দায়িত্বও, সেটা নিশ্চয়ই নিজেও বোঝেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর বসে থাকেননি তিনি। হোম অব ক্রিকেটে নিয়মিত অনুশীলন করেছেন।
মূলত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হলেও জাতীয় দলে কিপিং গ্লাভস নিয়মিত পরা হয় না। ক্যারিয়ারের খুব কম সংখ্যক টি-টোয়েন্টিতেই খেলেছেন কিপার হিসেবে। যে ক’টা ম্যাচে কিপার হিসেবে খেলেছেন সেগুলোতে ব্যাট হাতে হয়েছেন একেবারে ব্যর্থ। টি-টোয়েন্টিতে আপাতত উইকেটের পেছনে দাঁড়ান নুরুল হাসান সোহান। তাই শুধু ব্যাটিংয়েই ধ্যান-জ্ঞান লিটনের। তার ওপর আলাদা যে নজর সেটির কতটুকু প্রমাণ দিতে পারেন এখন সেটিই দেখার পালা।