হোম অন্যান্যসারাদেশ বিভাগ সংস্কারে ১০ দাবি ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের 

বিভাগ সংস্কারে ১০ দাবি ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের 

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 8 ভিউজ
ইবি সংবাদদাতা:
সেশনজট, শেণীকক্ষ ও শিক্ষক সংকট নিরসনসহ বিভাগ সংস্কারে ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি করেন তারা।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন। এসময় তারা ‘শিক্ষক নিয়ে তালবাহানা, আর না আর না’, ‘অন্য বিভাগ স্বর্গে, আমরা কেন মর্গে’, ‘অন্য বিভাগ ৪ বছরে, আমরা কেন ৭ বছরে’, ‘আজকেই চাই সমাধান, সেশনজটের অবসান’, ‘ক্লাসরুম ছাড়া ক্লাস, আর না আর না’, ‘শিক্ষকদের রোষানলে, আর না আর না’ ও ‘পরীক্ষা কেন ধীরগতি, কি করেন সভাপতি’ সহ নানা শ্লোগান দেয়।
বিভাগের সংষ্কারে তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- নির্দিষ্ট রুটিন প্রনয়ণ করে প্রতিটি কোর্সের ন্যূনতম ক্লাস নেওয়া, সেশনজট নিরসনে তিন মাসের মধ্যে সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া এবং শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত গেস্ট টিচার দ্বারা ক্লাস নেওয়া, পর্যাপ্ত ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করা, সেমিনার লাইব্রেরী বরাদ্দ দেওয়া, ইনকোর্স সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার পরে নেওয়া এবং নম্বর প্রদান করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলমকে বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্য পুর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা, প্রতি বছর বিভাগ থেকে শিক্ষা সফরে যাওয়া এবং আন্দোলনের পরবর্তী প্রভাব কোনো শিক্ষার্থীর উপর কে যেন না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের প্রতি বছর একটি করে সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেমিস্টার শেষে রেজাল্ট প্রকাশ করতে ৭/৮ মাস লেগে যায়। বর্তমানে আমাদের বিভাগে ৭ টি ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা চলমান। কিন্তু তাদের বিপরীতে মাত্র ১ টি ক্লাসরুম এবং ৩ জন শিক্ষক রয়েছেন। আমাদের ঠিক মতো ক্লাস পরীক্ষা হয় না। ফলে আমরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়ে আছি।
এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের দেওয়া সমস্যা নিরসনের রোডম্যাপ সম্বলিত একটি পত্রে সাক্ষর করেন বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা। তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীরা দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পাবে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি পূরণে কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বিভাগটির সকল সমস্যা সমাধান হবে।
এবিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবি পূরণ করা হবে। কোষাধ্যক্ষ তাদের বিষয়গুলো দেখবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন