নিউজ ডেস্ক:
সংসদ নির্বাচনের তারিখ আজকেই ঘোষণা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘আপনাকে আমরা পছন্দ করি। কিন্তু কারও কথায় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করবেন না।’
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
জয়নুল আবদিন ফারুক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সমাবেশে বলেন, ‘বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করব, আজকেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। কেননা, যতই নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে ততই আওয়ামী লীগ সংগঠিত হচ্ছে এবং ষড়যন্ত্র হচ্ছে। হাসিনার বিচার আপনারা করেন, কোনো আপত্তি নাই। এই বাংলাদেশে প্রত্যেক নিপীড়নকারীর বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।’
সমাবেশে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে বিএনপির নেতা ফারুক বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। যারা পিআর ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পদ্ধতিতে ভোট চায়, আপনারা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছেন তার পরিণামে পেয়েছেন ফাঁসি। ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি যদি আওয়ামী লীগের বিনা ভোটে নির্বাচনে অংশ না নিত তখন একমাত্র আল্লাহ ছাড়া শক্তি ছিল না ওই নির্বাচন করার। হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ সেদিন বেইমানি করে হাসপাতালে সিটে বসে বিনা ভোটে এমপি হয়েছেন। সেই আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকেও পঁচিয়ে দিয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা ’৭১-এর স্বাধীনতা মানে না, যারা ড. ইউনূসের নির্বাচন মানে না, তারা এখন ষড়যন্ত্র করে তারেক রহমানকে ক্ষমতায় আসতে দিতে চায় না, তাদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব। নির্বাচন ইনশাআল্লাহ হবে। বঙ্গোপসাগরে যেমন বাঁধ দেওয়া সম্ভব নয়, তেমনি বিএনপিকে বাদ দিয়ে এই দেশে কোনো নির্বাচন কেউ করতে পারবে না।’
দলে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘যারা সেনবাগে এমপি হতে চান, দয়া করে জনগণের কাছে যান। বিভেদ সৃষ্টি করে নতুন লোক আমদানি করে এই দেশে রাজনীতি করানো কঠিন হবে।’
সেনবাগ বাজারের জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে আয়োজিত এ সমাবেশে সেনবাগ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল সেনবাগ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।