হোম রাজনীতি বিগত সরকার কৃত্রিমভাবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করে রেখেছিল: রিজভী

বিগত সরকার কৃত্রিমভাবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করে রেখেছিল: রিজভী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 35 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত সরকার অত্যন্ত কৃত্রিমভাবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করে রেখেছিল। এটা তার স্বাভাবিক অসুস্থতা নয়।
একজন নারী পায়ে হেঁটে জেলখানার ভেতরে ঢুকলেন; একটি অন্যায়, অসত্য, মিথ্যা মামলায়। জেলে নেওয়ার পর প্রমাণ ছাড়াই নানা উপায়ে তাকে অসুস্থ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) নয়া পল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, শারীরিক অসুস্থতা ও সংকটের মধ্যেও দেশ ছেড়ে যাননি খালেদা জিয়া। তার মতো নেতৃত্ব আমাদের অহংকার। তিনি আমাদের গহীন অন্ধকারে পথ দেখিয়েছেন। সংকটেও কীভাবে মাথা উঁচু করে থাকতে হয়, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কীভাবে সংযমী হতে হয়; সেই শিক্ষা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র যখন কারও করায়ত্ত থাকে এবং সেই রাষ্ট্র যখন একজন ঘৃণাপরায়ণ, প্রতিশোধপরায়ণ, স্বৈরাচারী, আক্রমণাত্মক, হিংসাপরায়ণ শাসকের হাতে থাকে—তখন সেই রাষ্ট্র যেকোনও মানুষকে যেকোনোভাবে হয়রানি করতে পারে। আমরা সেটাই দেখেছি। হাঁটতে পারা সুস্থ একজন মানুষের জীবনীশক্তি কীভাবে দুর্বল হলো? কেন হলো? এর পেছনে সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের হাত রয়েছে—সেই প্রতিশোধপরায়ণ, আক্রমণাত্মক নারী শেখ হাসিনার।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া স্বামী হারিয়েছেন। বাড়ি হারিয়েছেন। সব কিছু হারিয়েছেন, চোখের সামনে সন্তানদের নির্যাতন দেখেছেন, তারপরও এই দেশ—মানুষ, মাটি ও পানি ছেড়ে যাননি। এক অদ্ভুত বিশাল হৃদয় নিয়ে, অদ্ভুত দেশপ্রেম নিয়ে, স্বামীর রেখে যাওয়া বাংলাদেশকে রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে তিনি থেকেছেন। অথচ দেখেছি—আরেকজন, একটু সমস্যা হলেই পালিয়ে গেছেন। সময় আসতেই সবার আগে লাফ দিয়ে চলে গেছে তার (শেখ হাসিনা) ছেলের কাছে। এরপর জনতার রুদ্ররোষ দেখে সবকিছু ছেড়ে এখান থেকেও পালিয়েছে।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে তো পালাতে হয়নি। আজ দেখলাম—অগ্রণী ব্যাংকের ভল্টে ৮৩২ ভরি সোনা, শেখ হাসিনার দুইটি ভল্টে! কত বড় চোর হলে এসব সম্ভব? তিনি তো অবশ্যই পালাবেন। কারণ তিনি চোর। আর খালেদা জিয়ার ব্যাংকে তো কোনও সোনা পাওয়া যায়নি। শেখ হাসিনা ও তার লোকেরা বড় বড় কথা বলতো—‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশ ছেড়ে পালায় না’। কিন্তু যাদের চরিত্র চোরের, ডাকাতের, দস্যুর—তারা তো কাপুরুষ। আর যখন ডাকাত, দস্যু, চোররা ধাওয়া খায়, তখন সবকিছু ফেলেই পালাতে হয়। কিছু নিয়ে যায়, কিছু ফেলে রেখে যায়। ওটা নেওয়ার সুযোগ পায়নি।

তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সরকারও যেটা অঙ্গীকার করেছে—সেই অনুযায়ী জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার যে অধিকার জনগণের, সেটা নিশ্চিত হোক।

তিনি আরও বলেন, সাড়ে ১০ বছর শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। সেখান থেকে উত্তরণ ঘটাবে এই অন্তর্বর্তী সরকার। তারা নিরপেক্ষ সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন, জনগণ সেটাই প্রত্যাশা করে।

জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেত্রীরা এতে বক্তব্য রাখেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন