জাতীয় ডেস্ক:
বিএনপির ভোটবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি প্রার্থীদের মধ্যেও কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঢাকার মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, আমি ১৪টি জেলা ঘুরেছি। বিএনপির আন্দোলনের কোনো প্রভাব দেখিনি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ভোটের মাঠে কোনো প্রভাব পড়বে না।
‘তবে এবার যেহেতু কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসছে না, সেহেতু চ্যালেঞ্জ আছে তবে আমরা এগুলো নিয়ে চিন্তিত নই,’ যোগ করেন তিনি।
প্রচারণা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আশঙ্কা প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, কমিশন আশ্বস্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তারা নির্বাচনী প্রচারণা করতে সফল হবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার যে চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের জানিয়েছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তা যাতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ঢাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিজিবি ঢাকা সেক্টর কমান্ডারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিকেলে ঢাকার প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে নির্বাচন কমিশন। এ সময় নাশকতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তার আশ্বাস দেন প্রার্থীরা।
১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন তারা। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, ২৭ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন।