রাজনীতি ডেস্ক:
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সাড়ে সাত কোটি মানুষের সমর্থন ও ভোট নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেদিন অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। আজকে বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহ্যবাহী অসহযোগ আন্দোলনকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ কসবা উপজেলার সোনারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বলতে খারাপ লাগে, না বলে পারছি না, বিএনপির ডাকে তো একটা পশুও লড়ছে না। তাদের অসহযোগ আন্দোলন হচ্ছে, কেবলমাত্র তাদের মনের শান্তির জন্য। জনগণ তাদেরকে মোটেও সমর্থন করে না। তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক সেটাই জনগণ চায়।
আইনমন্ত্রী বলেন, গত ২০১৪ সালে তারা অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, ২০১৮ সালে তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে, এখন তারা ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়ে, বাসে আগুন দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। তাদের কাছে নিষ্পাপ শিশুও মাফ পাচ্ছে না। তাদেরকেও তারা হত্যা করেছে।
বিএনপি-জামায়াত আবারও নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে বরে অভিযোগ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এদেশের জনগণ সেই সুযোগ তাদেরকে দেবে না।
তিনি বলেন, তারা ২০১৪ সালে আসে নাই, ২০১৮ সালে আসে নাই, ২০২৪ সালেও আসবে না। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তারা টাকা লুটপাট করে বিদেশে নিয়ে গিয়ে এখন বিদেশিদের সঙ্গেও আঁতাত করছে। না এসে বাইডেনকে চিঠি লিখে, অমুককে চিঠি লিখে, তমুককে চিঠি লিখে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
আনিসুল হক আরও বলেন, আমরা ২০২৪ সালে আপনাদের ভোট নিয়ে সারা বিশ্বকে প্রমাণ করে দিতে চাই যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে এবং জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে।
তিনি বলেন, যারা ধ্বংসের রাজনীতি করে তাদের বর্জন করে আপনারা বলবেন, আমরা ধ্বংসের রাজনীতি মানি না। আমরা বাংলাদেশকে ভালবাসি। আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি আমরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রমাণ করব, আমরা কেবল আনিসুল হককে ভালোবাসি না, আমরা বাংলাদেশকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে এবং জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রকারী বিএনপি-জামায়াতের কোন জায়গা নেই। এ দেশের জনগণ যে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই রায় আপনারা ভোটের মাধ্যমে তাদের দিয়ে দিবেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আজহারুল ইসলাম, রহুল আমীন বকুলসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।