স্পোর্টস ডেস্ক:
শৈশবের দুরন্তপনার সঙ্গে ছিল পড়াশোনায় মেধার স্বাক্ষর। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা তোজাম্মেল হকের ইচ্ছা ছিল ছেলে তানজিদ হাসান তামিম চিকিৎসক হবেন। কিন্তু সে ইচ্ছা পূরণ না হলেও বড় এক লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ছেলে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন, সেটিও আবার এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে।
বাবার ইচ্ছা ছিল মানবসেবার মধ্য দিয়ে তানজিদ তামিম করবেন দেশের সেবা। তবে ছেলের হাত প্রেসক্রিপশনের বদলে ক্রিকেট ব্যাটে বেশি স্বস্তি খুঁজে পেয়েছে। লাল-সবুজের ক্রিকেটকে বিশ্ব দরবারে প্রতিনিধিত্ব করতেই যেন তার জন্ম। তাতে বাবার আশা পূরণ না হলেও এখন প্রাপ্তিটা আরও বড় তোজাম্মেল হকের।
শ্রীলঙ্কায় ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পুরস্কার হিসেবে যেন সিনিয়র ভার্সনে বিসিবির ডাক পেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ছোটবেলা থেকেই ধুলো-মাটি নিয়ে আপন মনে খেলতেন তামিম। আদরের ভাগ্নে যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন বিশ্বাস ছিল একমাত্র মামারও। আর তামিমের বড় বোন ক্রিকেট খুব একটা না বুঝলেও ভাইয়ের ম্যাচ থাকলে বসে পড়তেন টিভির সামনে।
তানজিদ তামিমের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘ও যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যেত তখন আমরা অনেক সাপোর্ট দিয়েছি। যখনই ওর খেলা থাকত আমরা টিভির সামনে বসে যেতাম। অল্প বয়স থেকেই আমরা ক্রিকেট খেলা দেখে এসেছি। কিন্তু সেখানে যে আমাদের কেউ খেলবে সেটি ভাবতেও পারিনি। তামিম দলে চান্স পেয়েছে এই অনুভূতি অসাধারণ।’
তামিমের বাবা মো. তোজাম্মেল হক বলেন, ‘যখন মানুষ আমার ছেলের কথা বলে প্রশংসা করে তখন আমার যে আনন্দ হয়, সেটি ভাষায় করতে পারব না। আমি চাই আমার ছেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাক। ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্ন যেন সে পূরণ করতে পারে সেই কামনাই করি।’