হোম জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতিকে গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য রাখার আহ্বান স্পিকারের

জাতীয় ডেস্ক:

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছেন। দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজেট বক্তৃতায় তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতিকে গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য রাখলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) সংসদ ভবনের শপথকক্ষে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ডিটি গ্লোবাল ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সহযোগিতায় সংসদ সচিবালয়ের বাজেট অ্যানালাইসিস ও মনিটরিং ইউনিট (বামু) কর্তৃক আয়োজিত ‘বাজেট হেল্প ডেস্ক ২০২৩’ এর আওতায় ‘সংসদ সদস্যদের জন্য ডিব্রিফিং সেশন-৫ ও ৬’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রকল্প পরিচালক এবং অতিরিক্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ এবং সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট বিষয়ক মুখ্য বিশেষজ্ঞ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

পরবর্তী সময়ে ‘ক্যাশলেস ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি’ বিষয়ে ‘নগদ’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এবং ‘ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর: এজ (EDGE) প্রকল্পের আলোকে’ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক আলোচনা করেন।

এ সেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র, আ, ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী ফরাজী, সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, তরুণরা সম্ভাবনাময় আগামীর প্রত্যাশা করে। তথ্য-প্রযুক্তিতে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তাতে তরুণদের জন্য সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করেছে সরকার। সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ায় তরুণ প্রজন্মের সমর্থন প্রতিফলিত হবে আগামী নির্বাচনে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর শীর্ষক প্রেজেন্টেশনের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের জন্য ৩৩৩ এবং ৯৯৯ এ জীবনরক্ষাকারী কলে ২০১৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যথাক্রমে সাড়ে আটকোটি ও সাড়ে চারকোটি সেবা প্রদান করা হয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

স্পিকার বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের ধারনা সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরের অগ্রযাত্রায় সকলকে সামিল হতে হবে।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আরএমজি সেক্টরে বাংলাদেশ যেমন দ্বিতীয় অবস্থানে আছে তেমনিভাবে আইসিটি সেক্টরেও শীর্ষ অবস্থানে পোঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।

বাজেট ডিব্রিফিং সেশনে বীরেন শিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম, আহমেদ ফিরোজ কবির, সালমা চৌধুরী, সুলতানা নাদিরা, বাসন্তী চাকমা, জাকিয়া পারভীন, শবনম জাহানসহ সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সিপিডি, ডিটি গ্লোবাল, বামু’র সদস্যরাসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন