হোম এক্সক্লুসিভ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির বিষয়ে পাইলট: প্লানিং-প্রিপারেশন সব জঘন্য হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক:

ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ স্কোয়াডে আছেন মাত্র দুজন ওপেনার। অফফর্মে থাকা লিটন দাসের সঙ্গী মাত্রই অভিষেক হওয়া তানজিদ হাসান তামিম। একের পর এক পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েও অনভিজ্ঞ তরুণ খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপের জন্য নিয়ে যাওয়ার সমালোচনা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি মনে করেন, বিশ্বকাপ নিয়ে টাইগারদের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে বিশাল ঘাটতি রয়ে গেছে।

টাইগারদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তামিম ইকবালের। ১৭ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তামিম নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরেই ৪৪ রানের ইনিংস খেলে রেখেছিল ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত। কিন্তু তামিমকে আনফিট দাবি করে দলে নেওয়া হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার তানজিম হাসান তামিমকে। এশিয়া কাপের একটি ম্যাচ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে তাকে দলে নেওয়ার সমালোচনা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।

পাইলট বলেন, ‘খুবই ভালো প্রমিসিং প্লেয়ার। আমরা আশাও করি, সে ভালো করবে। কিন্তু তার আসাটা কেমন যেন। এশিয়া কাপে এক ম্যাচ খেলালাম, তারপর সব ম্যাচ ড্রপ। বাংলাদেশে এসে খেলল (নিউজিল্যান্ড সিরিজ), রান করল না, বাংলাদেশ টিমে (বিশ্বকাপ স্কোয়াড) হয়ে গেল। তাহলে পারফরম্যান্স দিয়ে বাংলাদেশ টিমে এলাম না কেউই। তাই সে জায়গায় একটা বড় ঘটতি থেকে গেল। খুব কনফিডেন্ট থাকত যদি সে পারফর্ম করে টিমে ঢুকত, কাউকে বিট করে টিমে আসত। তাহলে তার জন্য ভালো হতো, খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত।’

পাইলটের আপত্তির জায়গা আছে আরও। বিশ্বকাপের আগে যে পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট, তাতে পরিকল্পনার ছাপ দেখতে পাননি তিনি। সাবেক এই উইকেটকিপার বলেন, ‘বিজয়কে এশিয়া কাপে নিয়ে যাওয়া হলো, ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে। নাঈম শেখ খারাপ করায় বিজয়কে একটা ম্যাচ খেলানো হলো। একটা ম্যাচের পর আবার ড্রপ। তো আমি ভেবেছিলাম যে, বাংলাদেশ টিম নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিনটা ম্যাচে হয়ত যারা পারফরম্যান্স করেছে তাদের রেস্ট দিবে, কিন্তু যেসব জায়গাগুলো আমাদের ইমপরট্যান্ট, যেসব জায়গায় চেক করা যায়, সেই জায়গাগুলোর খেলোয়াড়দের খেলাবে। কিন্তু দেখলাম সেই নিউজিল্যান্ড সিরিজে আবার বিজয় নেই, উধাও! তাকে নিবেনই না, পারফর্ম করার সুযোগই দিবেন না, আমার কাছে মনে হয় এটা আগে থেকেই প্রেসক্রিপশন করাই ছিল যে, কাকে কাকে নিব আর কাকে কাকে নিব না। একবার নিচ্ছে তো আরেকবার আউট। একবার নিচ্ছে তো আরেকবার আউট!’

তাই টাইগারদের বিশ্বকাপ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিকে ‘জঘন্য’ বলে মন্তব্য করলেন ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া পাইলট, ‘ভালো প্লেয়াররা যখন নিউজিল্যান্ড সিরিজে খেলছেনই না, বিজয়ের তো প্রথমেই চান্স পাওয়া উচিত ওখানে। বিজয় ও তামিম জুনিয়র যদি প্রথমেই ওখানে ব্যাটিং করত, তাহলে কিন্তু দুইটা প্লেয়ারের মধ্যে আপনি একতা অপশন তৈরি করতে পারতেন যে, কাকে কনফিডেন্ট বানিয়ে আপনি ওয়ার্ল্ড কাপে নিয়ে যেতে পারবেন।’

তিনি যোগ করেন, ‘ দুজনই ভালো প্লেয়ার। কিন্তু একজনকে চ্যালেঞ্জটা দিলেন কিন্তু আরেকজনকে চ্যালেঞ্জটা নিয়ে দেখাতেই দিলেন না। তারা সবাই তো আমাদেরই প্লেয়ার, তারা বাংলাদেশ টিমের জম্ন্যি খেলবে। আমরা চাই তারা ভালো করুক, ভালো ক্রিকেট খেলুক। পারফর্ম করুক। তারা সবাই আমাদের অ্যাসেট। কিন্তু প্লানিং-প্রিপারেশন সব আমার কাছে জঘন্য মনে হয়েছে। এটা কোনো প্রিপারেশনই না।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন