নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় অন্যর বসতবাড়িতে ঢুকে ঘরবাড়ি ভাংচুর ফসলাদি গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়নে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা সদরের থানা ঘাটা গ্রামের আহাদ আলীর পুত্র ইমরান হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি আমার চাচা আকরাম আলী ও আনছার আলী উভয় পিতা মৃত দবির শেখের কাছ থেকে ২০০৬ সালে দলিল নং ৬৬৫১ দলিলে ১৯৬ দাখে, ১৩৪৭ খতিয়ানে ৩৮ শতক জমির মধ্যে ৭ শতক জমি ক্রয় করি। ক্রয় করার পর সেখান থেকে অদ্যবদি ভোগ দখল করে আসছি। সেখানে আমাদের বসত ঘর বাড়িসহ বিাভিন্ন ফলজ গাছ লাগানো আছে। এর মধ্যে উক্ত জমিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আমার চাচাতো ভাই রোকনুজ্জামান (৪৫) বর্তমানে খুলনা জেলা পরিষদে কর্মরত ও শরিফুজ্জামন উভয় পিতা মৃত আনোয়ার হোসেন ও সালমা খাতুন স্বামী রোকনুজ্জামান। তারা উক্ত জমি দখল করে নিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামকে ব্যাবহার করে জমি দখল করতে যায়। বিএনপি নেতা শফিকুলের নেতৃতে গত ২৩ মে ২৫ তারিখে সকাল ৮ টার সময়¡ প্রায় ১০/১৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা বাড়িতে কেউ না থাকায় তারা ঘর বাড়ি ভাংচুর, সিমানার প্রাচীর ও ফলজ গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এত প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। তারা এঘটনা থানা পুলিশকে জানালে আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে যায়। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এর আগেও কয়েক দফায় স্থানীয় পর্যায়ে শালিশ বৈঠক হলেও তারা কোন শালিশ মানেনি। উক্ত আসামীরা আমাদের বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারা মামলা করে যার নং ২২২৩/২২। বিজ্ঞ আদালত সেটি খারিজ করে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বৃদ্ধ পিতা আবদুল আহাদ, মুজাহিদ, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, আমি গত ২০২৪ সালে সাতক্ষীরা সদর সহকারি জজ আদালতে ২২৯/২৪ নং একটি মামলা দায়ের করি। মামলটি এখনও বিচারাধীন। আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় উক্ত বিবাদীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমার ক্রয়ক্রিত সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবং আমার ও আমার পরিবারের জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে।
আমি যাতে ন্যায় বিচার পেতে পারি সে জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।