জাতীয় ডেস্ক:
অনেক নাটকীয়তার পর অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ বরখাস্ত হয়েছেন। তবে এ বরখাস্ত করা হয়েছে সাময়িকভাবে। নারী ঘটিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করা হয়। তাদের পরে থানা থেকে সোজা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা মারাত্মক হওয়ায় আজ দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন সাংগঠনিক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
এর পরপরই সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পর বিতর্কিত এ পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে তাকে খোরপোষ ভাতা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমানের (বিপিএএ) স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় জানানো হয়, তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের সব শ্রেণির নেতাকর্মীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া যেন নিশ্চিত করা হয় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে জন্য আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। আজ (১১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। ডিএমপি কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঘটনার জেরে এডিসি হারুন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের ঘটনা তদন্তের জন্য রোববারই তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ডিএমপি। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনারকে (অপারেশন) প্রধান করে গঠিত কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।