রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আসলেও পাশের এনেক্সকো টাওয়ারে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বঙ্গবাজার সংলগ্ন এনেক্সকো টাওয়ারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় আগুন জ্বলছিল।
অন্যদিকে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের দুটি দমকল থেকে অনবরত পানি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা শেষ সম্বল হিসেবে যতটুকু সম্ভব মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা ভবনের ভেতরে ঢুকেছি। সেখানে পঞ্চম তলার একটি জুতার গোডাউন থেকে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। নতুন করে বড় আগুনের সম্ভাবনা নেই। আমরা ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এখানে সারারাত কাজ করব।
এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভোর সোয়া ৬টার দিকে। একে একে ৪৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। আরও যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর দলও। সবার চেষ্টায় বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর।
বঙ্গবাজারের আগুনের ঘটনায় আনুমানিক দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
এ দিকে আগুনের সময় উত্তেজিত জনতার হামলায় ফায়ার সার্ভিসের ৩ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আগুনের ধোঁয়ায় ও অন্যান্য ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২ জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ফায়ারম্যান আতিকুর রহমান রাজন (২৫), রবিউল ইসলাম অন্তর (২৫) সদর দফতরে ইটের আঘাতে আহত হন এবং ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক বাবুল চক্রবর্তী (৫৯) উত্তেজিত জনতার কিলঘুষিতে আহত হন। ফায়ার কর্মী দিদারুল হক (৩৪) ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর সময় মাথায় ভারী কিছু পড়ে আহত হন।
এ ছাড়া দোকান মালিক শাহিন (৪৫), নিলয় (২৩), রিপন (৪০), রুবেল (৩২), দুলাল মিয়া (৬১), সোহেল (৪৮) ও সুমন (৩৫) আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হন। তাদের মধ্যে শাহিন, নিলয়, রিপন ও রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।