দরজায় করা নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আজ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদ। ঈদের আগের দিন বঙ্গবাজারে বেড়েছে বেচাবিক্রি। পুড়ে যাওয়া মার্কেটটির খালি জায়গায় ছাতি টানিয়ে বিক্রেতারা চকিতে বিছিয়েছেন জামা-কাপড়ের পসরা। সেই জামা-কাপড় কিনতে এসেছেন ক্রেতারা। আজ শুক্রবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ভালো সমাগম।
জামাল ব্যাপারী নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘ঈদ করতে আজ মুন্সীগঞ্জে যাব। পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড় কিনতে বঙ্গোবাজারে এসেছি। এই মার্কেটে আগেও আসতাম, কিন্তু আগুন লাগার কারণে এবার চৌকির ওপরে বসে সবাই ব্যবসা করছে। এটা আমাকে এই মার্কেটে কেনাকাটায় বেশি টেনেছে।’
কামাল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আজ গ্রামে যাব। এখান থেকে জিন্সের প্যান্ট কিনে, কাটানোর জন্য দাঁড়িয়ে আছি। শুনেছিলাম—আগুন লেগেছিল, আজ নিজ চোখে দেখলাম ও কিনলাম।’
এক বিক্রেতা বলেন, ‘কয়েকদিন তো ব্যবসা হয়নি। গতকাল ও আজ কিছুটা বিক্রি হচ্ছে। তবে, ঈদের আনন্দ এবার আমাদের নেই। তারপরেও কিছু বেচাবিক্রি ভালো হলে পরিবারের সঙ্গে ভালোমতো ঈদ পালন করতে পারব।’
খাঁন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মো. সজিব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সন্ধ্যার পরে ব্যবসা ভালো হয়। তবে, আগের চেয়ে বেড়েছে। গরমের কারণে অনেকে আসেন না। আজ ভালোই বিক্রি হয়েছে। পাইকারি ব্যবসা নেই, ক্রেতারা খুচরা কিনছে বেশি। আগুনের ক্ষতি কমবে বলে আশা করছি। ক্রেতারা যদি আগের মতো আসে, তাহলে আমার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
গত ৪ এপ্রিল ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয় রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেট। আগুনে বঙ্গোবাজারে তিন হাজার ৮৪৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনার ৯ দিনের মাথায় ১২ এপ্রিল থেকে আবারও কাপড় কেনাবেচা শুরু হয়। এরপরে প্রধানমন্ত্রী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা দেন। পরে ব্যবসায়ীরা চৌকি বসিয়ে বেচাবিক্রি শুরু করেন।