হোম অন্যান্যসারাদেশ ফেসবুকে পরিচয় থেকে বিয়ে, ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

ফেসবুকে পরিচয় থেকে বিয়ে, ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 36 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

বগুড়ার তরুণী রিমু। ফেসবুকের মাধ্যমে মাহবুব সাঈদী নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয়। সেখান থেকে কথাবার্তা তারপর বিয়ে। স্বামী অ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানির মালিক।

বিয়ের আগে কথা ছিলো বছরখানেক পরে রিমুকে তার ব্যবসার ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিবেন। একথা বলে রিমুর প্রবাসী বাবার কাছ থেকে নেন ৫০ লাখ টাকা। আর এই ৫০ লাখ টাকা নেয়ার পর সটকে পড়েন মাহবুব সাঈদী। জোরপুর্বকভাবে তাকে ডিভোর্সও দেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শাজাহানপুর উপজেলার খরনা নাদুরপুকুর এলাকার বাসিন্দা রিমু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০২১ সালে কোম্পানি খুলে রিমুকে ২০ শতাংশ শেয়ার মালিক করার কথা বলে তার সিংগাপুর প্রবাসী বাবার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন। এ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রও সম্পাদন হয় তাদের মধ্যে। পরের বছর রিমুকে বিয়েও করেন তিনি। কোম্পানি কিছুদিন পরিচালনার পর তিনি তার বিভিন্ন অর্থনৈতিক জালিয়াতি ধরে ফেলেন এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে নানান সময়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় বলে জানান।

লিখিত বক্তব্যে রিমু আরও বলেন, একপর্যায়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হলে সে ২০২২ সালের এপ্রিলে জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতাদের সাথে নিয়ে তাকে এবং তার মাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জোর করে তাকে ডিভোর্সও দেন মাহবুব সাঈদী।

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসার জন্য দেয়া টাকা কিংবা লভ্যাংশও ফেরত দেয়া হয়নি। অপহরণ এবং দেনমোহর না দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও গত দুই বছর তার এবং তার সন্ত্রাসীদের হুমকি ধামকি ও প্রভাবে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।

রিমুর অভিযোগ, অপহরণ এবং দেনমোহর না দেয়ার অভিযোগে তিনি মাহবুব সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও, গত দুই বছর তার এবং তার সন্ত্রাসীদের হুমকি ধামকি ও প্রভাবে তিনি ন্যায়বিচার পাননি। অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে বগুড়ার একটি হাসপাতাল এলাকায় চায়ের দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করলেও, সেখানে গিয়ে সাঈদী এবং তার সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বারবার প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এই নারী।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন