অনলাইন ডেস্ক:
ফরিদপুরে এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুজনকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের মামুদপুর হালিমের ভিটা এলাকার সলিম মল্লিকের ছেলে আরজু মল্লিক এবং একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আরজু মল্লিক উপস্থিত ছিলেন। সবুজ মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুর সদরের মামুদপুর এলাকার আরজু মল্লিক (৩১) ও একই এলাকার সবুজ মিয়া (৩৬)। সবুজ পলাতক রয়েছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর সোয়া ১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার কলার বাগান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত নারীর পরনে লাল রঙের সালোয়ার ও কালো রঙের বোরখা ছিল। তরুণীর গলায় কালো দাগ ছিল।
এলাকাবাসী মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পরে থানায় খবর দেয়। ওই নারীর পরিচয় প্রথমে জানা যায়নি। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল গফ্ফার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ওই দিনই ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের বিলমামুদপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। ওই নারীর পরিচয় তখন জানা যায়নি। পরে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন তদন্ত করে জানতে পারেন এ নারীর বাড়ি চট্টগ্রামের পাঁচশাইল গ্রামে। পরে তিনি ফরিদপুরের মামুদপুর গ্রামের আরজু ও সবুজকে আসামি করে ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরে তার মোবাইলের কললিস্ট অনুসরণ করে আরজু মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরজু মল্লিক স্বীকার করেন যে ওই নারীকে সে এবং সবুজ মিয়া ধর্ষণ করেন এবং পরবর্তীতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
স্বপন পাল আরও জানান, নাছরিনকে অর্থের লোভ দেখিয়ে আরজু এবং সবুজ ফরিদপুরে নিয়ে আসেন। পরে নাছরিনের সঙ্গে টাকা নিয়ে ঝামেলা হলে তাকে হত্যা করে কলাবাগানে ফেলে রাখে তারা। দীর্ঘ শুনানি শেষে আরজু মল্লিক ও সবুজ মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।