হোম অন্যান্যসারাদেশ ফজলুর রহমানকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবি বৈষম্যবিরোধী নেতাদের

ফজলুর রহমানকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবি বৈষম্যবিরোধী নেতাদের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 117 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের বক্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ দাবি করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার না করলে কিশোরগঞ্জে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তাই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে অবিলম্বে ফজলুর রহমানকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারসহ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য ও সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল নাহিদ ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স।

বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকার করে আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদে কালিমা লিপ্ত করছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফজলুর রহমানকে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় কিশোরগঞ্জে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। তাই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, যেন অবিলম্বে ফজলুর রহমানকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারসহ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে ছাত্র-জনতা যদি কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করে, তা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় বিএনপিকে বহন করতে হবে।

বক্তারা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে করা মামলাকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে ভবিষ্যতে অন্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানিমূলক মামলার আশঙ্কা ব্যক্ত করে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় বসে না থেকে পুনরায় রাপজপথে নামার ঘোষণা দেন।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা এখনও ঘরে ফিরে যাইনি। যদি আমাদেরকে হয়রানিসহ অস্বীকার করার প্রবণতা দেখা যায়, আবার রাজপথে নেমে রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।

বক্তারা বলেন, ফজলুর রহমান গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের যেভাবে কটাক্ষ করছেন এতে বিএনপির শতাধিক শহীদ ও আহতরাও এর শিকার হচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক মুখপাত্র মানস সরকার উৎস, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াজ ইবনে জসিম, যুগ্ম সদস্য সচিব শামসুর রহমান, সদস্য আরিফুল ইসলাম রাফি, তামিম ইকবাল, মিয়াদ, দেলোয়ার নেওয়াজ ভূঁইয়াসহ অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি টেলিভিশন টকশোতে এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। এর থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেকেই এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও এর প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি লেখন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান গতকাল একটা অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিজের ফ্রেমিংয়ে ফেলে “বেজন্মা” গালি দিয়েছেন। এই আওয়ামী লীগার ও মুজিববাদী এখন বিএনপির ন্যারেটর অ্যান্ড ওরেটর। ফজলুর মতো বিএনপি নেতা গত কয়েক মাস ধরে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের হয়ে মাঠে সরব থাকছেন। যে ভাষা ও বয়ানে তিনি বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করছে, সে ভাষা ও বয়ান পুরাপুরি খুনি লীগের এবং তার বয়ান খুনি লীগের মিডিয়া সেলগুলোই হরদম প্রচার করে যাচ্ছে।’

‘সিনিয়র রাজনীতিবিদদের আমরা সম্মান করতে চাই। কিন্তু জনাব ফজলুর মতো পলিটিক্সে ন্যূনতম আদবের তোয়াক্কা না করা, ইনিয়ে বিনিয়ে ফ্যাসিবাদের দালালি করা, অভ্যুত্থানকে মেনে নিতে না পারা, আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের দায় তাদেরকেই নিতে হবে। পাল থেকে ছুটে যাওয়া লাগাম ছাড়া কয়েকজনের জন্য বিএনপি বারবার নিজেদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেখতে চায় কিনা সেই সিদ্ধান্ত বিএনপির নিতে হবে। এদের স্টেটমেন্ট এবং এদের বিরুদ্ধে যদি আপনারা ব্যবস্থা না নেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ মনে করবে তাদেরকে দিয়ে আপনারাই এই কথাগুলো বলাচ্ছেন।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন