হোম অন্যান্যসারাদেশ ফকিরহাটে জয়বাংলা মোড় মৎস্য আড়ৎ এ সম্ভাবনার হাতছানি

ফকিরহাটে জয়বাংলা মোড় মৎস্য আড়ৎ এ সম্ভাবনার হাতছানি

কর্তৃক
০ মন্তব্য 167 ভিউজ

মান্না দে, ফকিরহাট (বাগেরহাট):

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের জয়বাংলা মোড় (গাবতলা নামক স্থান) মৎস্য আড়ৎ এখন দক্ষিণাঞ্চলের নির্ভরযোগ্য মৎস্য আড়ৎ এ পরিনত হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারী (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাসের কারণে ৪মাস বন্ধ থাকার পর পূনরায় চালু হয় এই মৎস্য আড়ৎ। পুনরায় চালু হবার পর প্রথম দিকে ক্রেতা-বিক্রেতা তেমন দেখা না গেলেও বর্তমানের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর এই ভিন্নতার কারণে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই মৎস্য আড়ৎ। ফকিরহাট উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরপুর থাকে উপজেলার এই মৎস্য আড়ৎ।

বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাছ ক্রয়ের পর পাঠানো হয় ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বড় বড় মোকামে।স্বচ্ছতা বজিয়ে রাখার জন্য সঠিক প্রক্রিয়ায় ওজন মাপা, সুদক্ষ হিসাব রক্ষক দিয়ে সকল হিসাব পরিচালনা করা ও আর্থিক লেনদেন সর্বদা নগৎ পরিশোধ করার কারণে খামারি ও চাষিদের আস্থার প্রতিকে রুপ নিয়েছে এই মৎস্য আড়ৎ।

জানা যায়, গত ১লা সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ ও বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ইউনুস আলী’র অনুমতি ক্রমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৎস্য আড়ৎ চালু করা হয় । তারই ধারাবাহিকতায় চালু হয় এই মৎস্য আড়ৎ। মাছ বিক্রয় করতে আসা চাষি দুলাল চন্দ্র হালদার, ফিরোজ তরফদার বলেন, করোনার কারণে আমাদের বেশ ক্ষতিসাধন হয়েছে তবে এখন কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছি। এই মৎস্য আড়ৎ এ মাছ বিক্রি করে টাকার জন্য ঝামেলা হয়না কারণ এখানে নগদ কেনা-বেচা হয়। যার কারণে আমরা বিক্রি করে প্রশান্তিতে আছি।

জয়বাংলা মোড় মৎস্য আড়ৎ কমিটির সাধারন সম্পাদক বিপুল চন্দ্র রায় বলেন,আমরা দীর্ঘ ৪ মাস পর আড়ৎ খুলেছি। আমরা সর্বদা চেষ্টা বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেজন্য আমরা মনিটরিং ও সচেতন করি।

জয়বাংলা মোড় মৎস্য আড়ৎ কমিটির সভাপতি অলিপ দাশ বলেন,আমরা চেষ্টা করছি যাতে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা মাছ বিক্রি করতে এসে কোন প্রকার বিরম্বনায় না পড়ে। আমাদের এই মৎস্য আড়ৎ এ নগদ টাকায় কেনা-বেচা,সঠিক মাপ ও সরকারী নিয়মনিতী মেনেই পরিচালিত হয়। আশা করি এভাবে পরিচালনা ভবিষৎ এ করতে পারলে এই দক্ষিনাঞ্চলের একটি বড় মৎস্য আড়ৎ এ পরিনত হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন