বাণিজ্য ডেস্ক:
সরকার প্রয়োজনে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
মিল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের বাজার ৯ মাস স্থির ছিল। করোনা অতিমারিতেও চালের দাম বাড়েনি। এখন বাড়ছে কেন?
তিনি বলেন, ধান-চালের মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করেন হাতে গোনা কয়েক জেলার ব্যবসায়ীরা। আমরা তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। মিল মালিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিবেক জাগ্রত করুন। বেপরোয়া না হয়ে মানব সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করুন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কৃষক ধানের দাম বেশি পেলে খুশি হতাম। এখন বেশি দামে ধান বিক্রি হলেও কৃষকের লাভ হচ্ছে না। উল্টো সুবিধা নিচ্ছেন মজুতদাররা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, চালের বস্তায় মিলগেটে চালের দাম কত তা লিখতে হবে। একই সঙ্গে থাকতে হবে উৎপাদনের তারিখও। এক্ষেত্রে নতুন আইন করা হয়েছে। যা দ্রুতই কার্যকর হবে। এ আইন কার্যকর হলে মিনিকেট নামের কোনো ধান-চাল থাকবে না।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যসচিব বলেন, চালের দাম নিয়ে আমরা সজাগ আছি। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কারসাজি করতে চাইলে সরকার আইন মোতাবেক কাজ করবে।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার কুষ্টিয়ার খাজা নগরের দেশ এগ্রো, সুবর্ণা অটোরাইস মিল, আল্লাহর দান অটোরাইস মিল, স্বর্ণা অটোরাইস মিল ও রশিদ অটোরাইস মিল আকস্মিক পরিদর্শন করেন। এসময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অবৈধভাবে গম ও আটা মজুত করায় মেসার্স সুবর্ণা অটো ফ্লাওয়ার মিলের গোডাউন সিলগালা করে জেলা প্রশাসন। এছাড়া অবৈধ ধান মজুতের প্রমাণ পেয়ে একটি মিলের ধানের গোডাউন সিলগালা করা হয়।