সংকল্প ডেস্ক:
প্রেমের ফাঁদে ফেলে সাদিয়া আফরিন মুন্নি নামের এক স্কুল ছাত্রীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা পাচার হওয়া স্কুল ছাত্রী মুন্নির পিতা মজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের৬/৭/৮/১১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন: সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ খোরদেশ আলম, একই এলাকার শরিফুলের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তানিশা খাতুন,সামশুর রহমানের কন্য ফাতেমা খাতুন ও কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রামের শরিফুল ইসলাম, ।
ভারতে পাচারের সময় মুন্নিসহ কয়েকজন অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ এর হাতে ধরা পড়ে। বর্তমানে মুন্নি পশ্চিমবঙ্গের বঁনগার একটি শেল্টার হোমে রয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে স্কুল ছাত্রী মুন্নি নিখোঁজ হলে প্রাথমিকভাবে মুন্নির পিতা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। পরবর্তীতে লোকমুখে জানতে পারেন, তানিশার সাথে মুন্নি ইজিবাইক যোগে নারিকেলতলা অভিমুখে রওনা হয়েছিলো। এসময় মুন্নির পিতা তানিশা ও খোরশেদ এর বাসায় গিয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করলে দুজনই তা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে মুন্নি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি শেল্টার হোমে রয়েছে। এবিষয়ে নিখোঁজ মুন্নির পিতা মজিজুল ইসলাম গত মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সদর থানায় চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১/২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।