জাতীয় ডেস্ক :
নড়াইলে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীর এজেন্ট হওয়ার জেরে, বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় ছেলেকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে নড়াইল শহরতলীর রধুনাথপুর এলাকায় তারা পরিকল্পিত হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় চাকুসহ হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অলোক সরকার নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারীকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত চাকুসহ হামলাকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে এ হামলা বলে ধারণা পুলিশের।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের অলোক নিজেদের মোটরবাইকে প্রতিদিনের মতো বাবা লঙ্কেরস্বর সরকারকে নিয়ে নড়াইল শহরে যার যার কাজে আসছিলেন। পথিমধ্যে রধুনাথপুর এলাকায় মৃত বারিক মোল্যার ছেলে হাসমতের নেতৃত্বে কয়েকজন তাদের গতিরোধ করে। এ সময় কিছু বুঝে উঠার আগেই হাসমত তার হাতে থাকা ক্ষুরধার চাকু দিয়ে অলোককে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত লঙ্কেরশর ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তাকেও উপর্যুপরি আঘাত করে দুর্বৃত্তরা দ্রুত সরে পড়ে। এ অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য রানি বেগমের এজেন্ট হওয়ায় প্রতিপক্ষরা এ হামলা চালিয়েছে।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. অলোক কুমার বাগচী জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অলোকের পেটে গভীর ক্ষতের ফলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে স্থানান্তর এবং লঙ্কেরশরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে অলোক স্থানীয় সংরক্ষিত সদস্য রানি বেগমের এজেন্ট ছিলেন। এ নিয়ে তিনি প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়েন। এর জেরে বাবা ছেলে পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়েছেন বলে ধারণা আহত লঙ্কেশ্বরের।
এদিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে ঘটনার হোতা হাসমতকে হামলায় ব্যবহৃত চাকুসহ আটক করা হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ চলছে।