রাজনীতি ডেস্ক:
মনোনয়ন ফেরত পেতে চতুর্থ দিনের মতো নির্বাচন কমিশনে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আবেদনের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনিয়মের অভিযোগ দেখিয়ে মনোনয়ন বাতিলের আবেদনও জমা পড়ছে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে। মনোনয়ন ফিরে পেতে চতুর্থ দিনে ৯৩ জন আপিল আবেদন করেছেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। এ নিয়ে গত চার দিনে মোট আপিল করেছেন ৪৩১ জন।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও দিনভর কর্মব্যস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দিনের মতো চলে মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার আপিল আবেদন গ্রহণ। প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে দেখা যায় জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীদের।
নিজেদেরটা ফেরত পাওয়ার আবেদনের পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনিয়মের অভিযোগ দেখিয়ে তাদের মনোনয়ন বাতিলের আবেদনও করেন কেউ কেউ।
বেশিরভাগ প্রার্থীর আশা আপিলের পর ফিরে পাবেন প্রার্থিতা। এর মধ্যে অনেকেই আবার আপিল করেছেন উচ্চ আদালতে।
নির্বাচন কমিশন বলছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিজেদের পক্ষে সঠিক তথ্যপ্রমাণ দেখাতে পারলেই ফেরত পাওয়া যাবে প্রার্থিতা।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আপিল গ্রহণের এই কার্যক্রম চলবে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত। এরপর রোববার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হবে আপিল শুনানি।
এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে ২ হাজার ৭১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে ১৯৮৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ ও ৭৩১ জনের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেছে ইসি।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।