অনলাইন ডেস্ক:
মাদারীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চায়না আক্তারকে (২১) পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের জাজিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত চায়না একই গ্রামের সোনা মিয়া ঘরামীর মেয়ে এবং কালিকাপুর ইউনিয়নের বলাইরচর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী সুলতান দঢ়ির স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানায়, সন্ধ্যায় ইজিবাইকযোগে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসছিলেন চায়না। কাছাকাছি আসলে ইজিবাইক থেকে নেমে বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করে সে। এ সময় ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত চায়নার কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চায়নাকে জখম করা হয়। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর ডানহাতের দুটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চায়নার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেলে পাঠান চিকিৎসক। এই ঘটনার দোষীদের বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
চায়নার খালা রিনা বেগম বলেন, আমার বোনের মেয়ে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আসছিল। পথেই এই হামলা চালিয়ে টাকা-পয়সা ও সোনাদানা সবকিছু নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। চায়নার অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঢাকায় নিয়ে যেতে হয়েছে। এই ঘটনার বিচার চাই।
চায়নার চাচাতো ভাবী মৌ আক্তার বলেন, আমার ননদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার চাই। একজন নারীর দুটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানে, সে পঙ্গু হয়ে যাওয়া। এর বিচার হওয়া দরকার।
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাইশা জেরিন মিম জানান, চায়না আক্তারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ডানহাতের দুটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়েছে, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠানো হয়েছে রাজধানী ঢাকায়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া এই ঘটনায় অপরাধীদের শনাক্ত করে তাদের ধরতে অভিযান চলছে।