রাজনীতি ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতাদের বৈঠক চলছে।
আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। জোটের শরিকরা কয়টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেন সেই বিষয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ন্যূনতম ৬০টি আসনে ছাড় চান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। এর বাইরেও আরও দুটি দাবি জানাবে তারা। প্রথমত, শরিকদের ছাড় দেওয়া আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত কোনো প্রার্থী থাকবে না। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের পদ-পদবিওয়ালা কোনো স্থানীয় নেতা তাদের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন না। এসবের নিশ্চয়তা চাইবেন তারা।
এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়য়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট শরিকদের মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৯১, জাতীয় পার্টি-জেপি ২০, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) ৬, গণতন্ত্রী পার্টি ১২, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ৬, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩৩, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৪৭টি আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের মহাজোটের শরিক দল বিকল্পধারা বাংলাদেশ ১৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা গত তিনটি (নবম, দশম ও একাদশ) সংসদ নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ভোটে অংশ নেয়। বিকল্পধারা বাংলাদেশ গত দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে।
অন্যান্যবারের মতো আগামী নির্বাচনেও তারা আওয়ামী লীগের কাছে আসন ছাড় চায়। আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি যার যার দলীয় প্রতীক নিয়েও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে তারা।
তবে বিপত্তি বেধেছে এতদিন আসন ছাড় বা আসন সমঝোতা নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি প্রধান দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মান ভাঙাতে শরিকদের নিয়ে বসছেন জোট নেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই শরিকরা যার যার দলের পক্ষে দাবি তুলবেন বলে জানিয়েছেন ১৪ দলের একাধিক শীর্ষ নেতা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তপশিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।