স্পোর্টস ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইতিহাস বদলানোর মিশন নিয়ে দেশটিতে পা রেখেছিলেন পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক শান মাসুদ। তবে প্রথম সিরিজ শেষে হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছে তার দলকে। শুধু হোয়াইটওয়াশের আক্ষেপ নয়, সিরিজ শেষে নতুন পাক অধিনায়ককে পড়তে হয়েছে সমালোচনার মুখেও।
অজিদের মাটিতে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে চিত্র কিছুটা বদলায়। প্রথম ইনিংসটা এগিয়ে থেকে শেষ করে সফরকারী পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও বিপর্যয় পাক শিবিরে।
প্রথম ইনিংসে ১৪ রানের লিড পেলেও হ্যাজেলউডের তাণ্ডবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩০ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে পারেনি পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উসমান খাজার উইকেট হারালেও ওয়ানডে সুলভ ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিতে নিয়েছেন ওয়ার্নার-লাবুশেনরা। অস্ট্রেলিয়ায় এ নিয়ে টানা ১৭ টেস্টে পরাজিত হলো পাকিস্তান।
প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান জিততে না পারলেও নতুন অধিনায়ক মাসুদের নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে বেশ। তবে তৃতীয় ম্যাচে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশ। বিশেষ করে সিডনি টেস্টের শেষ দিনে তার নেতৃত্ব ছিল বেশ প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রশ্ন ওঠার কারণ হলো আমের জামালকে দেরিতে বোলিংয়ে আনা। এই সিরিজের সেরা আবিষ্কার ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি আমের জামালকে মাসুদ বোলিংয়ে এনেছেন ২০তম ওভারে। ততক্ষণে ম্যাচের দফারফা প্রায় হয়ে গেছে, অস্ট্রেলিয়ার লাগত মাত্র ৩৩ রান।
সিরিজে ১৮ উইকেট নেওয়া জামালকে কেন দেরিতে বোলিংয়ে আনা হলো, ম্যাচ শেষে এ নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিচালক ও এই সিরিজের প্রধান কোচ মোহাম্মদ হাফিজকে প্রশ্ন করা হয়। হাফিজও মনে করেন, জামালের হাতে আরেকটু আগে বল তুলে দেওয়া উচিত ছিল। তবে সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি অধিনায়ক মাসুদ নিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন, ‘সব বোলারই বল করতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ব্যাপারটি অধিনায়কের ওপর নির্ভর করে। অধিনায়কের কৌশল এমনই (জামালকে দেরিতে বোলিংয়ে আনা) ছিল।’
সিডনিতে চতুর্থ দিন থেকে উইকেট সাধারণত ভাঙতে শুরু করে। উইকেট ভাঙতে শুরু করলে স্পিনাররা সহায়তা পেয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান খাজা ও ওয়ার্নার বাঁহাতি হওয়ায় শুরুতেই ডানহাতি অফ স্পিনার সাজিদ খানকে বোলিংয়ে এনেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক মাসুদ। তার সে কৌশল কাজেও দেয়।
প্রথম ওভারেই সাজিদের বলে এলবিডব্লু হন খাজা। সাজিদ শুরুতে ব্রেকথ্রু এনে দেওয়ায় তাকে দিয়েই আরও কয়েক ওভার করানোর পরিকল্পনা করেছিলেন মাসুদ, এমনটাই মনে করেন হাফিজ, ‘এই পিচ থেকে বাড়তি কিছু পাওয়ার সুযোগ ছিল। এ কারণে অফ স্পিনারকে দিয়ে আরও বেশি বল করানো হয়েছে। মাঠে থাকা অধিনায়কই এটা ভালো বুঝতে পারে। তাই ওর সিদ্ধান্তকে আমাদের সমর্থন জানাতেই হতো।’