মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
মোংলায় প্রতারণার ফাঁদে ফেলে স্বামীকে বিয়ে করার পর স্বামী-স্ত্রী উভয়কে ব্লাকমেলের প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকার শ্যামবাজারের বাসিন্দা লাবনী বেগম।
বুধবার বিকেলে মোংলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে লাবনী বেগম বলেন, আমার স্বামী মোঃ আবুল হোসেন পেশায় একজন ভাঙ্গারী (পুরান মালামাল) ব্যবসায়ী। ব্যবসার সুবাদে ঢাকা-মোংলায় যাতায়াত করতেন তিনি। পরে ফেসবুকে মোংলার ময়লাপোতা এলাকার সেকেন্দার আলীর মেয়ে হালিমা আক্তার হিমার সাথে পরিচয় হয় তার স্বামী আবুল হোসেনের। ফেসবুক পরিচয়ের এক পর্যায়ে হালিমা আক্তার হিমা আমার স্বামী আবুল হোসেনকে কৌশলে হালিমার গ্রামের বাড়ী বাগেরহাটের রামপালে নিয়ে যান। পরে সেখানে খাবারের সাথে অবচেতন নাশক ওষুধ খাইয়ে অসুস্থার কবলে ফেলে প্রলোভনসহ পরিকল্পিতভাবে ছলচাতুরী করে আমার স্বামীকে ১০লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন প্রতারক হালিমা। এতে তার স্বামী আরো বেশি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাস তিনেক আগের ওই জবরদস্তি বিয়েকে পুজি করে হালিমা আক্তার হিমা বিভিন্ন সময়ে ফেসবুক ম্যাসেন্জার ও মোবাইলে আমাকে আর আমার স্বামীকে নানাবিধ ভয়ভীতি, হয়রানী, হুমকি-ধামকিসহ ব্লাকমেল করে আসছে হালিমা।
সংবাদ সম্মেলনে লাবনী বেগম আরো বলেন, এই হালিমা শুধু আমার স্বামীর সাথেই এমন করেছে তা নয়, আরো অনেক পুরুষকেই ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেল করেছেন। হালিমা গত বছরের ২০জুলাই মোংলার শ্রমকল্যাণ রোডের বাসিন্দা বাদশা মিয়াকে একই কায়দায় প্রতারণা ফাঁদে ফেলে ১০লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। ওই ঘটনায় বাগেরহাট আদালতে হালিমার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া অনেক পুরুষকেই একইভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেল করেছেন, যা মুলত হালিমার পেশায় পরিণত হয়েছে। লাবনী আক্তার আরো বলেন, প্রতারক হালিমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে হালিমা আক্তার হিমা বলেন, কোন প্রতারণা নয়, শরিয়ত মোতাবেক আবুল হোসেনকে বিয়ে করি আমি।