হোম অন্যান্যসারাদেশ প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় ৯ আসামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট

অনলাইন ডেস্ক:

প্রতারণা এবং জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি জবর-দখলের অভিযোগের একটি মামলায় ৯ আসামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারীর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোঃ. জিয়ারুল ইসলাম ওই আদেশ দেন। তবে গতকাল ৭ আসামী একই আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোঃ. জিয়ারুল ইসলাম আবেদনটি গ্রহণ না করে মূল আদালতে শুনানী করার জন্য পরামর্শ দিয়ে আবেদনটি ফেরত দেন।

মামলার বাদী আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের মোঃ. শাহীন ইকবাল জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫৬৭ ও ১৬২৭ নম্বর এস.এ খতিয়ানের ২৪৭১,২৪৭২ ও ২৪৭৩ দাগের ৩ একর ৩৭ শতক জমির মধ্য হতে ১একর ১২ শতক জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে শহরের মুন্সিপাড়া গ্রামের বাবলু গাজীর ছেলে আসামী সালাম গাজী আম-মোক্তারনামা গ্রহীতা সেজে অপর আসামী আশাশুনির বুধহাটা গ্রামের মৃত মাদার সরদারের কন্যা জবেদা খাতুন ও সদরের মাছখোলা গ্রামের মৃত রুস্তুম আলীর ছেলে শেখ আব্দুর রশিদকে দাতা দেখিয়ে সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস হতে ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি ২৯২ নম্বর দলিল সম্পাদন করেন। পরবর্তীতে উক্ত আসামী সালাম গাজী সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্টারকে ম্যানেজ করে ভুয়া ও জাল খাজনা জারী মোকদ্দমার রায়, খন্ড খতিয়ান, চেক দাখিলা এবং ডিপি খতিয়ান দাখিল করে অপর আসামী জাহিদুর রহমান, শাহানা বেগম, রিয়াসাত আলী ও করিমন বেগমের কাছে পৃথক ৪টি দলিলের মাধ্যমে উল্লেখিত জমি বিক্রি করে জবর দখলের মাধ্যমে তাদেরকে দখল বুঝিয়ে দেন। ওই ঘটনায় মোঃ শাহীন ইকবাল বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল সাতক্ষীরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সাতক্ষীরা সদরের সাবেক সাব-রেজিস্টার মোঃ. লুৎফর রহমান মোল্যা, আম-মোক্তারনামা গ্রহীতা শহরের মুন্সিপাড়া গ্রামের বাবলু গাজীর ছেলে সালাম গাজী, আম-মোক্তারনামা দাতা আশাশুনির বুধহাটা গ্রামের মৃত মাদার সরদারের কন্যা জবেদা খাতুন ও সদরের মাছখোলা গ্রামের মৃত রুস্তুম আলীর ছেলে শেখ আব্দুর রশিদ, দলিল গ্রহীতা জাহিদুর রহমান, রিয়াসাত আলী, করিমন বেগম, শাহানাজ বেগম, নাজমা বেগম, কামাল হোসেন, বেল্লাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, দলিলের সাক্ষী আলাউদ্দীন, সনাক্তকারী আকবর হোসেন ও দলিল লেখকের নামে ১৯৪৭ সালের দূর্নীতি দমন আইনের ৫(২)সহ প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকাকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ ৩ বছর ৮ মাস যাবত তদন্ত শেষে নীলকমল পাল, সাবেক উপ সহকারী পরিচালক, দূর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনা ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদরের সাবেক সাব-রেজিস্টার মোঃ. লুৎফর রহমান মোল্যাসহ ৬ আসামীকে বাদ দিয়ে ৯জনের নামে আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলায় সরকারী কর্মকর্তা আসামী না থাকার কারণে দুর্নীতি দমন আইনের ধারা বাদ দিয়ে মামলাটি বিচার নিষ্পত্তির জন্য চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত ১৬ আগস্ট সমন পেয়েও আসামীরা আদালতে হাজির না হলে আদালত ৯ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারীর আদেশ দেন।

এদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. সালমা আক্তার জানান, গতকাল রোববার ৭জন আসামী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোঃ. জিয়ারুল ইসলাম আবেদনটি গ্রহণ না করে মূল আদালতে শুনানী করার জন্য পরামর্শ দিয়ে জামিন আবেদনটি ফেরত দেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন