অনলাইন ডেস্ক:
আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দুই মাস পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেই হিসাবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিল মাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও প্রায় দুই মাস পিছিয়ে যাবে। আগামী বছরের জুন মাসে নেয়া হতে পারে এ পরীক্ষা।
শনিবার ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি পরীক্ষা ও এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার আবির্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এলোমেলো হয়ে যায় পুরো শিক্ষাপঞ্জি । ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ এপ্রিল। এরপর গত বছর থেকে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল। গত বছর এ পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। কিন্তু আগামী বছর ফের তা পিছিয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই পরীক্ষা হবে ধরে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিল শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেই লক্ষ্যে এখন স্কুলগুলোতে চলছে নির্বাচনী পরীক্ষা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ফরম পূরণেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপরও হঠাৎ পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। তবে কী কারণে পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্ট কেউ কিছু বলছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এজন্য ঠিকমতো পাঠ্যসূচি শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও আবেদন আছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।”
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে। সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে এ পরীক্ষা হবে। তবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে ২০২৩ সালের মতো সংক্ষিপ্ত বা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে।