জাতীয় ডেস্ক:
পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশের নামে নৈরাজ্য চালিয়েছে। সেখানে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গাইবান্ধা থেকে শামীম রেজা ও ঢাকার ডেমরা থেকে মো. সুলতান নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমিনুলের পরিবারের পাশে থাকবে ডিএমপি। তার পরিবার ও সন্তানদের লেখাপড়ার সব খরচ বহন করবে ডিএমপি।
আমিরুল ইসলাম পারভেজ মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী গ্রামের মো. সেকান্দার আলী মোল্লার ছেলে। তিনি কনস্টেবল হিসেবে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, আমিরুল ইসলাম পারভেজকে হত্যায় পুলিশ বাদী হয়ে ডিএমপির পল্টন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ ছিল বিএনপির। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং একপর্যায়ে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। পুলিশের হিসাবে, ৫৫টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্স পোড়ানোর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।
এসব ঘটনায় মির্জা আব্বাসসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭ থেকে ৮শ’ জনকে আসামি করে জধানীর শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেছে পুলিশ।