জাতীয় ডেস্ক:
পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ১৯৭১ সালে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। বীরত্বের এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ভবিষ্যতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাহিনীর সদস্যদের অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপির বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডিএমপি সদস্যদের বীরত্ব, ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করায় ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে সাহসিকতার এ ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও অব্যাহত রাখতে হবে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো পুলিশ সদস্যের চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
আইজিপি বলেন, ‘আপনারা যেভাবে বীরত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, তা ভবিষ্যতেও দেশ ও জাতি দেখতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজারবাগে পুলিশ সদস্যরা পাকিস্তানি বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ‘থ্রিনটথ্রি’ রাইফেল দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আগামী দিনেও দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভায় পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা তাদের বিভিন্ন প্রস্তাবনা আইজিপির সামনে তুলে ধরেন। আইজিপি তাদের কথা শোনেন এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (এলঅ্যান্ডএএ) মো. মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ডিএমপির কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত কমিশনার পর্যন্ত প্রায় এক হাজার সদস্য অংশ নেন।