পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের কাউখালী ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় ২২ জনকে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খালেদা খাতুন রেখা ও মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিকের পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত এ দন্ড প্রদান করেন।
জানা গেছে, বুধবার (১৭জুন) রাতে কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাহাপুরা গ্রামে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে অভিযান চালান। এ সময় মোঃ রাসেল হোসেন ও রানা হোসেন নামের ২ সহোদরকে আটক করা হয়।
পরে তাদের প্রত্যেককে ৫শত টাকা করে এক হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন। দন্ডিতরা ওই গ্রামের ইমাম হোসেনের পুত্র। এ ছাড়া একই রাতে ওই উপজেলার কচুকাঠী বাজারের মুদি দোকানদার অরুবিন্দু হালদার (বিন্দু) কে অধিক রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার দায়ে ১হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন।
এ ছাড়া জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউপি’র ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম দুলাল সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায়, নিয়ম না মেনে অধিকরাত পর্যন্ড দোকান খোলা রাখা, মোটর সাইকেল, অটো চালক এবং আরোহীদের মাস্ক ব্যবহার না করা, পরিবহন কাউন্টার সহ ১৯ জনকে ২১টি মামলার মাধ্যমে ১৯ হাজার ৮০০টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলার কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা ও মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মী ভৌমিক পৃথকভাবে বলেন, দন্ডিতরা সংক্রমন আইন অমান্য করায় এ অর্থদন্ড করা হয়েছে।