পিরোজপুর অফিস:
পিরোজপুরের নাজিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২১ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষে ১৪টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার হাসপাতাল ব্রীজের ঢালের বুইচাকাঠী টেম্পু ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়।
এ হামলায় এক পক্ষের তারেক জামিল রানা তাজ রাজিব শেখ , মানবিন্দু মিস্ত্রী , রানা বিশ্বাস , মধু খান , বেল্লাল হাওলাদার রানা হাওলাদার , হৃদয় খান , হৃদয় মোল্লা , মিলন , কাওছার মৃধা , বাপ্পি খান, রায়হান সর্দার, মিরাজ মৃধা , প্রিন্স হাওলাদার, নুরুল আমীন , নয়ন ফরাজী আহত হয়েছে।
এ সময় অন্য পক্ষের জোবায়ের হিমেল , শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম প্রিয়ংকা (২৫), স্মরন শিকদার , কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রাকিব (২০) আহত হয়েছে।
আহত নুরে আলম প্রিয়ংকা জানান, আমি শানিবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীরামকাঠী বন্দরের সোনালী ব্যাংকের সামনের একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার কালে শ্রীরামাকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মিঠুর নেতৃত্বে ৫/৬ জন যুবলীগ কর্মী আমার উপর হামলা করে আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু জানান, ওই দিন সকালে বাসা থেকে বের হয়ে উপজেলার দিকে যাওয়ার সময় ওই মারামারির খবর পেয়ে ঘটনা স্থালে গিয়ে দেখি উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপসের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের ৪/৫ জন কর্মী হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে মোটর সাইকেল ভাংচুর করছে। পরে আমি সেখনে গেলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সহ সেখানে থাকা হামলা কারীরা ব্রীজের নীচে নেমে যায়।
উপজেলা যুবলীগ সহসভাপতি মো. ফারুক হাওলাদার জানান, ওই দিন সকাল ১০টার দিকে আমরা নাজিরপুর থেকে শ্রীরামকাঠী যাওয়ার পথে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপসের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। এ সময় হামলা করে আমাদের ২০/২৫ জনকে আহত করে এবং কাওছার শেখ, রিপন, রাজিব, হৃদয় খান, হৃদয় মোল্লা, মিলন, নয়ন শেখ, শরিফুল, পার্থ ওঝা, হামিম ও কাওছার মোল্লা এদের ১১টি ও ৩ পথ চারী সহ ১৪টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে ।