মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা :
পাইকগাছায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার নামে প্রতারণা করে ২২ লাক ৬৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধে মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে মামলাটি করেন উপজেলার গজালিয়া গ্রামের আরাফাত হোসেন। পুলিশ প্রধান আসামি মোক্তার হোসেন(৩৩) কে ওই রাতেই খুলনার মুজগুনী এলাকার রেলওয়ে বস্তি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠিয়েছে।
মামলার বাদী আরাফাত হোসেন জানান, গত ১৬ মার্চ পৌর সদরের সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসি। আমার শশুর জমি সংক্রান্ত কাগজ যোগাড়ের কাজে ব্যস্ত থাকে। আমার কাছে ২২ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা একটি ব্যগে রেখে দেয়। এ সময় আমার বন্ধু মোক্তার হোসেন আমাকে বলে আমার কাছে দাও আমি দেখে রাখবো। তখন তার কাছে ব্যাগ দিয়ে আমি আমার শশুরকে সাহায্য করতে থাকি। পরে এসে দেখি সে নাই। তাৎক্ষনিক আমি থানাকে জানাই এবং একটি সাধারণ ডাইরি করি। সে অনুযায়ী প্রায় ৬ মাস পর রোববার রাতে মোক্তার মোড়লকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি জেলা ছাত্রলীগের উপ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক (বহিষ্কার) মাসুদুর রহমান মানিক(৩০) ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাক শহিদুল্লা কায়সার(৪৫) ও ইমরান হোসেন(৩২) যোগাযোগে এ কাজ করেছে এবং ওই টাকা তাদের নিকট দেয় বলে স্বীকার করে। মাসুদুর রহমান মানিক, শহিদুল্লাহ কায়সার,ও ইমরান হোসেন পালাতক রয়েছে।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ২২ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা প্রতারণা করে পালিয়ে যাওয়া ঘটনায় থানায় ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছি অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।