আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রুশ ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভকে দেয়া পশ্চিমাদের অস্ত্র দিয়েই ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। টেলিগ্রামে এক বার্তায় এমনই বিস্ফোরক তথ্য দিলেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।
শনিবার (৭ অক্টোবর) গাজা থেকে ইসরাইলের মুহুর্মুহু রকেট হামলার শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছিল হামাস-বাহিনী কিছু মার্কিন অস্ত্র হাতে পেয়েছে।
সাবেক রুশ প্রেসিডেন্টের এমন দাবির মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বেশ আলোচিত হচ্ছে, যেখানে দেখা যায়, একজন হামাস সদস্য ইউক্রেনের দেয়া একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধ ট্যাংকের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
দিমিত্রির মতে, ইউক্রেন পশ্চিমা মিত্রদের দেয়া যুদ্ধ সহায়তার অপব্যবহার করছে এবং ভবিষ্যতেও তাদেরকে অনুদান হিসেবে দেয়া যুদ্ধাস্ত্র কালোবাজারে পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, আগামীতে ইউক্রেন মিসাইল, ট্যাংক, এমনকি যুদ্ধবিমানও কালোবাজারে সরবরাহ করবে।
মেদভেদেভের দাবি, ইউক্রেনের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত কর্তৃপক্ষ’ তাদের পশ্চিমা সমর্থকদের কাছ থেকে পাওয়া সবকিছুর ব্যবসা করতে দ্বিধা করবে না এবং এতে করে বিশ্বে সংঘাত আরও বাড়বে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০২১ সালে, যখন মার্কিন যোদ্ধারা তাদের ব্যবহার করা যুদ্ধাস্ত্র আফগানিস্তানে রেখে চলে যায়। তখন সেই অস্ত্র দিয়েই তালেবান যোদ্ধারা বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায়।
ওয়াশিংটন কিয়েভকে মস্কোর বিরুদ্ধে লড়তে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে এবং অস্ত্র সরঞ্জাম কিনতে কোটি কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি হামাস বাহিনী ইউক্রেনের কাছ থেকে রুশ বাহিনীর জব্দ করা অস্ত্র সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। তাদের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক নষ্ট করতে এমন পায়তারা করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পশ্চিমা অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধের উদ্দেশ্যেই রাশিয়া এমন গুজব ছড়াচ্ছে বলে দাবি ইউক্রেনের।