হোম অন্যান্যসারাদেশ পর্দানশীন নারীদের মানবাধিকার হরণের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রীদের সমাবেশ 

পর্দানশীন নারীদের মানবাধিকার হরণের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রীদের সমাবেশ 

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 11 ভিউজ
ইবি সংবাদদাতা:
পর্দানশীন নারীদের বিগত ১৬ বছর যাবত নাগরিকত্ব না দেওয়ার প্রতিবাদে এবং জড়িত স্বৈরাচারদের শাস্তির দাবিতে সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীরা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত ছাত্রী এ কর্মসূচি করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা হাতে ‘পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব বঞ্চিত করা মানবতাবিরোধী অপরাধ’, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে মুখচ্ছবি দেখে পরিচয় যাচাই মূর্খতার লক্ষণ’, ‘আমার চেহারা আমি দেখাবো না, এটা আমার প্রাইভেসির অধিকার’, ‘পরিপূর্ণ পর্দা করা আমার সাংবিধানিক অধিকার’সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
এসময় তারা তিন দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো- বিগত ১৬ বছর যাবত পর্দানশীন নারীদের মানবাধিকার হরণ করা ইসি কর্মকর্তাদের বিচার, পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসীর অধিকার অক্ষুন্ন রেখেই এনআইডি প্রদান এবং পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ায় মহিলা অফিস সহকারী বাধ্যতামূলক করা। এসময় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে দেশব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মাঠে নামবে বলেও হুশিয়ারী দেন।
সমাবেশে তারা বলেন, গত ১৬ বছর যাবত ইসির কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা শুধুমাত্র মুখচ্ছবির অজুহাতে পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এতে পর্দানশীন নারীরা মৌলিক ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত হয়েছেন। যারা পর্দানশীন নারীদের মানবাধিকার হরণ করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
তারা আরও বলেন, তাদের এই দাবী শুধু ধর্মীয় অধিকারের মধ্যে পড়ে না, প্রাইভেসীর অধিকারের মধ্যেও পড়ে। ফলে দুই দিক থেকেই পর্দানশীন নারীদের দাবী মানবাধিকার ও সংবিধানিক অধিকারের অন্তর্ভূক্ত। গত ১৬ বছর শুধুমাত্র পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে নারীদের সাথে যে বৈষম্য হয়েছে তার পরিসমাপ্তি চাই। নির্ভুল যাচাইয়ের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট এখন সর্বাধুনিক ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যম। বর্তমানে এক ছবি একাধিক লোক ব্যবহারের প্রযুক্তিও আবিষ্কার হওয়ায় আধুনিক বিশ্ব মুখচ্ছবি দেখে পরিচয় যাচাই বর্জন করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন