রাজনীতি ডেস্ক:
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শৃঙ্খলা বিরোধী অভিযোগে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। এজন্য বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নেতা ৮ জন হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, তাঁতী বিষয়ক সহ সম্পাদক রাবেয়া ভূঁইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৭ জন হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন ও সর্বশেষ আজ বিকেলে বহিষ্কার করা হয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হোসেন রেজা বাবু।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে নতুন নিবন্ধিত বিএনএমে যোগ দিয়ে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-৪ আসনে এবং মতিউর রহমান মন্টু রাজশাহী-৩ আসনে, ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠন করে খন্দকার আহসান হাবিব টাঙ্গাইল-৫ আসনে এবং একেএম ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্রাক্ষণবাড়িয়া-১ আসনে এবং শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বহিষ্কৃত জেলা নেতাদের মধ্যে বিএনএম থেকে শেরপুরের মো. আবদুল্লাহ শেরপুর-১ আসনে ও চাপাইনবাবগঞ্জের আবদুল মতিন চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, তৃণমূল বিএনপি থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল শেরপুর-২ আসনে ও পঞ্চগড়ের আব্দুল আজিজ পঞ্চগড়-২ আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেওয়ানগঞ্জের মাহবুবুল হাসান জামালপুর-১ আসনে এবং ধামরাইয়ের দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ঢাকা-২০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
রাবেয়া সিরাজ তার মেয়ে শুল্কা সিরাজ যিনি টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় প্রকাশ্যে অংশ নিচ্ছে বলে জেলা পর্যায় থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ কেন্দ্রকে কয়েকদিন আগেই দাবি জানায়।