আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন শ্রীলঙ্কার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। সোমবার (জুলাই) তিনি পদত্যাগপত্রে সই করেন তিনি। গোতাবায়ার পদত্যাগপত্র কার্যকর হবে বুধবার (১৩ জুলাই) থেকে। দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা জনসমক্ষে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগপত্র জাতির কাছে ঘোষণা করবেন।
শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট পদত্যাগপত্রটি স্বাক্ষর করে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেছেন। ওই কর্মকর্তা এটি স্পিকারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
গত শনিবার বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে পড়লে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি কোথায় রয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিক্ষোভকারীরা পরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও অবস্থান নেন।
এদিকে এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আকাশপথে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মকর্তাদের বাধায় পণ্ড হয়ে যায় বিদেশযাত্রা। বিমানে ব্যর্থ হয়ে নৌবাহিনীর জাহাজে শ্রীলঙ্কা ছাড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
একইভাবে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ব্যর্থ হন শ্রীলঙ্কার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ছোট ভাই বাসিল রাজাপাকসে। সোমবার (১১ জুলাই) কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। যদিও পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
‘চেক ইন’ করতে না পেরে বাসিল রাজাপাকসে পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমগুলো। বিমানবন্দরে বাসিলকে দেখার পর যাত্রীদের বিক্ষোভের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে নিউজ ওয়্যার লংকা।
চলমান নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে শ্রীলঙ্কা। এ কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিক্ষোভ চলছে। কয়েক মাস টানা বিক্ষোভের মধ্যে গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এতে সন্তুষ্ট হননি। তারা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। শনিবার রাজধানী কলম্বোয় রীতিমত লঙ্কাকাণ্ড ঘটে যায়। রীতিমতো গণঅভ্যুত্থান ঘটে। এদিন দুপুরে হাজারো মানুষ গোতাবায়ার বাসভবনে ঢুকে পড়ে। আগুন ধরিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের বাড়িতে।
