নড়াইল অফিস:
নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমারুল গাজীর মির্জাপুর গ্রামের বসতবাড়ির জমি প্রতিপক্ষ মিন্টু গাজী জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে ব্যাপক উত্তেজনা।
অভিযোগে জানা গেছে, সদর উপজেলার মির্জাপুর বাজার সংলগ্ন বাড়িতে বিছালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইমারুল গাজী তার পৈত্রিক বাড়িতে মা আনোয়ারা বেগম, ভাই সামিরুল গাজীসহ পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন।
নয়বছর পূর্বে ইমারুল গাজী তার বসতভিটা সংলগ্ন দু’টি দাগের ৮শতক জমি একই গ্রামের মিন্টু গাজীর কাছে বিক্রি করেন।জমি ক্রেতা মিন্টু গাজী তার ক্রয়কৃত ৮শতক জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (১৩আগষ্ট) মিন্টু গাজী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমারুল গাজীর বসতবাড়ির অংশের দু’শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে খুঁটি গেড়ে দেন এবং বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেন।
এ ঘটনায় দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে সংঘর্ষ এড়াতে স্থানীয় ক্যাম্প ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মো.জাকির হোসেনের হস্তক্ষেপে জমি দখলের অপচেষ্টা ভেস্তে যায়। বিরোধীয় জমি নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উক্তস্থানে কোন স্থাপনা নির্মাণ বা যেকোন ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন এসআই মো.জাকির হোসেন।
সাবেক চেয়ারম্যান ইমারুল গাজীর মা আনোয়ারা বেগম বলেন,‘প্রতিপক্ষ মিন্টু গাজী ও তার লোকজন আমাদের বসত বাড়ির সীমানা প্রাচীর জোরপূর্বক ভেঙ্গে ফেলে বাড়ির জমি দখল করার জন্য খুঁটি গেড়ে দিয়েছে।এ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য মিন্টুকে বারবার অনুরোধ করার পরও তিনি কারোর কথা শোনেননি।আমার স্বামীর ভিটা মিন্টু গাজী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের ইন্ধনে জোরপূর্বক দখল করতে চায়।’
এ ব্যাপারে মিন্টু গাজী জানান,‘সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তার বাড়ি সংলগ্ন যে ৮শতক জমি আমার কাছে বিক্রি করেছেন। তার মধ্যে দু’শতক জমি খাস তালিকায় রয়েছে। ওই জমির পরিবর্তে আমার ন্যায্য প্রাপ্য দু’শতক জমি মেপে সেখানে খুঁটি গেড়েছি।পুলিশ প্রশাসন শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলার পর আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে এসেছি।