হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে এলাকার আধিপাত্য ধরে রাধতে বিএনপি কর্মীকে হত্যা

নড়াইলে এলাকার আধিপাত্য ধরে রাধতে বিএনপি কর্মীকে হত্যা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 46 ভিউজ

নড়াইল প্রতিনিধিঃ
হামিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক হামিম মোল্যা ও তার ভাই ঠান্ডু মোল্যা এলাকার আধিপাত্য ধরে রাধতে বিএনপি কর্মী হাসিম মোল্যাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে বলে স্বজনদের অভিযোগ। ১৫ বছর পর বাড়িতে ফিরে বিগতদিনের সকল বিবাদের মীমাংসার কথা বলে ১৫ মার্চ সকাল ৯টায় একটা গ্রাম্য সালিশি বসার কথা ছিল। কিন্তু সালিশি না বসে সকাল ৮টায় হামিম মোল্যা ও তার ভাই ঠান্ডু মোল্যা অতর্কিত হামলা করে তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলে এ সময় হাসিম আত্মরাক্ষার জন্য ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।

এ ঘটনায় কালিয়া থানার দু’জন পুলিশ সদস্য চন্দন ও সজল, নিহত হাসিমের বাবা কাদের মোল্যা, আপন ভাই জনি মোল্যাসহ ৮ জন আহত হন। জনি মোল্যার ডান হাত দেহ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন সে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সংঘর্ষের পর যৌথবাহিনী স্থানীয় সিরাজ মোল্যা (৪৪) ও আজিজার শেখকে (৫৫) গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

মরদেহ রবিবার (১৬মার্চ) বিকালে খুলনা থেকে নিজ বাড়িতে পৌছে। বিকালে স্থানীয় কবরস্থারে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে ও তাদের আত্নীয় স্বজন গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ি ছাড়া। এমনকি অনাকাংখিত পরিস্থিতি এড়াতে নারী ও শিশুরাও গা ঢাকা দিয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র সিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা হামিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক হামিম মোল্যা ও তার ভাই ঠান্ডু মোল্যা গ্রæপের সাথে একই গ্রামের জনি মোল্যা গ্রæপের বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয়ভাবে ঠান্ডু মোল্যা আ’লীগ ও জনি মোল্যা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এদিকে হামিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইস্রাফিল মোল্যা সংঘর্ষের সময় আ’লীগের হামিম মোল্যা-ঠান্ডু মোল্যা গ্রæপের সাথে ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এরা স্থানীয় বাজার এবং চরের দখলে ছিলো।এই দখর ধরে রাধতে শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ঠান্ডু মোল্যার লোকজন প্রতিপক্ষ জনি মোল্যার বাড়িতে গিয়ে তাদের লোকজনের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহতের মা জাহিদা বেগম ও স্ত্রী রাজকী বেগম জানান, গত ১৫ বছর যুবলীগ নেতা হামিম মোল্যা ও তার ভাই ঠান্ডু মোল্যা গ্রæপ স্থানীয় গাজীরহাট বাজারের ব্যবসা বানিজ্য নিয়ন্ত্রন ও চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত ছিল। নিহত হাসিম মোল্যা ও জনি মোল্যা এসব অন্যায় কাজে বাঁধা দিয়ে আসছিল। এ কারণে তারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তারা আসামিদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স.ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু হাসিম মোল্যাকে বিএনপির কর্মী হিসেবে দাবি করেন। প্রতিপক্ষ হামিদপুরইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বি এনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ কি না? এমন প্রশ্নের জবারে বলেন, ইস্রাফিল মোল্যা আওয়ামী লীগের ইন্দনে এ সংঘর্ষের সাথে যুক্ত ছিলেন। তবে প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে এবং দু’জন পুলিশ আহত হয়,কেবা কারা রাতের আধাঁরে ৬-৭ টি বাড়ি আংচুর ও আগুনে পুড়িয়েছে এ ঘটনায় মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে,এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন