নড়াইল অফিস :
নড়াইলে এক সন্তানের জননী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। নিরর্যাতিতা ও তার সজনদের অভিযোগ, কুমড়ি গ্রামের কুখ্যাত রিপন ও ওহিদুল মোল্যা নামে ঐ নারির বংশীয় দুই চাচা মুখবেঁধে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে তাকে। পরে এ ঘটনায় যাতে মামলা করতে পারে সেজন্য পরিবার পরিজনসহ নির্যাতিতাকে গৃহবন্দী করে রাখে দুর্বৃত্তরা। বুধবারেরর ঐ ঘটনার দুই দিন পর বন্দিদশা থেকে কৌশলে পালিয়ে শুক্রবার স্বজনরা নির্যাতিতা নারিকে নিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতলে ভর্তি করে। এঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবি করছেন নির্যাতিতা ও তার পরিবার।
পুলিশ ও ভূক্তভোগী পরিবার জানায়, স্বামীর সঙ্গে কলহের ফলে বাবার বাড়ি কুমিড় গ্রামে অবস্থান কারি ঐ নারি বুধবার সন্ধায় বাড়ির পাশের পুকুরে হাত-পা ধুতে গেলে একা পেয়ে তার দুই চাচা সন্ত্রাসী রিপন ও ওহিদুল তাদের সহকর্মী পার্শবর্তী তালবাড়িয়া গ্রামের জাকির ও নুরুন্নবীর সহযোগিতায় মুখ বেঁধে নির্জনে ধরে নিয়ে ধর্ষন করে।
এ সময় বাঁধা দেয়ায় দুর্বৃত্তরা মেয়েটিকে বেধড়ক মারপিট করে। মেয়েটির সর্বনাশ করে সন্ত্রাসীরা পরে তাকে ঘটনা ফাঁস করলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দিলেও এ ঘটনায় যাতে মামলা না করতে পারে সেজন্য পরিবার পরিজনসহ নির্যাতিতাকে বাড়ি আটকে রাখে। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে শুক্রবার স্বজনরা নির্যাতিতাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসার পাশাপাশি এ দিনই সেখানে তার ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়। আটক থাকার ফলে মামলা করতে বিলম্ব হলেও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা । এ দিকে অপরাধীদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান,লিখিত অভিযোগ না পেলেও ঘটনার সত্যতা পেয়েছি, অপরাধিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে । আমরা অপরাধিদের দ্রæত ধরতে সক্ষম হবো।