হোম খুলনানড়াইল নড়াইল সদরে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচন দাবী

নড়াইল সদরে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচন দাবী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 61 ভিউজ

নড়াইল অফিস:

ষষ্ট উপজেলা নির্বাচনের ২য় পর্যায়ে নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম পেশী শক্তির ব্যবহার, রিটানিং অফিসারের বিমাতা সুলভ আচারনের প্রতিবাদে ও পূর্ননির্বাচনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী তোফায়েল মাহমুদ। বুধবার ২২ মে বিকালে নড়াইল পৌরসভাধীন আলাদাতপুরস্থ নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে এ সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।

তোফায়েল মাহমুদ বলেন, নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে আমি প্রার্থী হবার পর থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নির্বাচনী কাজ শুরুর পর থেকে আমার নেতা কর্মীদের ভয় ভীতি হুমকি দিতে থাকে জেলা আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ। এর পর নড়াইল- ২ আসনের সংসদ সদস্য হুইপের পিতা গোলাম মোর্তজা স্বপন বিজয়ী প্রার্থী মোঃ আজিজুর ভুইয়ার পক্ষে প্রকাশ্যে বিভিন্ন মিছিল মিটিং করতে থাকে।

নড়াইল- ২ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ মাশরাফি বিন মোর্তজার বিরুদ্ধে আমি লিখিত অভিযোগ দিলে আমার নিকট তথ্য উপাত্ত থাকা সত্তেও আমার নিকট কোন তথ্য না চেয়ে রিটানিং অফিসার আমার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে বাতিল করে দিল। সংবাদ সম্মেলনের সময় স্ত্রী কল্যানী বাগচী, ছেলে দিপ্ত সান্ন্যাল উপস্থিত ছিলেন। এমন কি নির্বাচনের দিন মাইজপাড়া ইউনিয়নের মাইজপাড়্রা, চারিখাদা, দূর্গাপুর রোড়ামাড়া, ও চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ফেদিবাজার, সিমানন্দপুর কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া সহ জাল ভোট ও ব্যালট পেপারে সিল মারার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে। যেখানে উপজেলায় ৩৭% ভোট পড়েছে সেখানে বিজয়ী প্রার্থী মোঃ আজিজুর ভুইয়ার নিজ ভোট কেন্দ্র সিমানন্দপুরের ৮০% ভোট পড়েছে। নড়াইল সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দুর কেন্দ্র থেকে এক ঘন্টার মধ্যে ফলাফল কন্ট্রোল রুমে পৌছালেও কন্টোল রুম থেকে এক ঘন্টার পথের সিমানন্দপুরের কেন্দ্রের ফলাফল ৫গন্টা পর কন্টোল রুমে পৌছায়। তোফায়েল মাহমুদ ঐসব কেন্দ্রের ফলাফল অনিয়ম দেখে পুনরায় নির্বাচন দাবী করেন।

উল্লেখ্য, ২১ মে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী মোঃ আজিজুর ভুইয়া পেয়েছেন ৪৫০৮৫ ভোট, তোফায়েল মাহমুদ পেয়েছেন ৪২৩০৬ ভোট।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন