হোম খুলনানড়াইল নড়াইল জেলায় প্রথম ফুলের চাষ করে সাফল্যের এক নবদুয়ার উন্মোচন

নড়াইল জেলায় প্রথম ফুলের চাষ করে সাফল্যের এক নবদুয়ার উন্মোচন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 97 ভিউজ

মোস্তফা কামাল, নড়াইল:

নড়াইল জেলায় এই প্রথম ফুলের চাষ করে সাফল্যের এক নবদুয়ার উন্মোচন করেছেন আলামিল মোল্যা নামের এক যুবক। ২০২১ সালে পরীক্ষামুলকভাবে গ্লাডিওলাস ও গোলাপ দিয়ে চাষ শুরু করলে ও বর্তমানে ২ একর সম্বলিত তার ফুলের বাগানে রয়েছে তার। জারবেরা, রজনীগন্ধা, টিউলিপেসহ নানা প্রজাতির দেশী ও বিদেশী ফুল শোভা পাচ্ছে আলামিনের ফুল বাগানে। জিফা এন্ড তায়েবা এগ্রো নামক তার এই ফুলের বাগান থেকে উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভ করেন। তার মত উচ্চ মূল্যের ফসল চাষ বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রশিক্ষন নিচ্ছেন অনেকেই ।

শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের পোড়াডাঙা গ্রামের মো: আলামিন মোল্যা পেশায় একজন ফুলের ব্যবসায়ী। তিনি জানান,পরীক্ষামূলকভাবে ২০২১ সালে নিজ গ্রামে গ্লাডিওলাস ও গোলাপ ফুলের চাষ শুরু করেন। উৎপাদন আশানূরুপ হওয়ায় পরবর্তীতে ২ একর জমিতে রজনীগন্ধা, টিউলিপ, জারবেরাসহ বেশ কয়েক প্রজাতির ফুল উৎপাদন শুরু করেন। তার এই ফুলের বাগানের নাম দিয়েছেন জিফা এন্ড তায়েবা এগ্রো। নড়াইলের ফুলের বাজার ছাড়াও বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠানের অডারের্র পাশাপাশি ঢাকার শাহবাগের পাইকারি ফুল মার্কেটেও রয়েছে তার ফুলের ব্যাপক চাহিদা। এলাকার যুবক ও বেকার ছেলেমেয়েদের এই চাষে উৎসাহিত করতে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলেন জানান।

বাগানের মালি জাহিদুল ইসলাম বলেন, এখনে ফুলের বাগান হওয়ায় আমার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। আমি যে বেতন পাই এই দিয়ে আমার সংসার ভালোভাবে চলে, পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো আছি। বাগান দেখাশুনা করি, আগাছা পরিস্কার করি, সময়মত প্রয়োজনীয় সার কিটনাশক ব্যবহার করি থাকি।

এলাকার উৎসুক জনতা প্রতিদিন এই ফুল বাগানে যান ফুল কিনতে,সুন্দয্যে উপভোগ করতে,কেউ কেউ আবার সঙ্গিসাথী নিয়ে সেলফি তুলতে আসেন । অনেকের ইচ্ছা এই রকম একটি ফুল বাগান করার।

বাগানে ঘুরতে আসা সুমন বলেন, আমরা আলমিন ভায়ের ফুলের বাগান দেখতে এসেছি । এ রকম ফুলের বাগান নড়াইলে এই প্রথম, আমরা চাই এই রকম বাগান নড়াইলে আরো হোক । ফুলের বাগানে এসে অনেক আনন্দ লাখছে।

নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো: রোকনুজ্জামান বলেন, আলামিনের এই ফুল উৎপাদন জেলায় একটি অনন্য নজির । এই বাগান থেকে কি করলে ভালো কিছু করা যায়, আমরা তার পরামর্শ দেব। কি ভাবে আর্থসামাজিক ভাবে লাভবান করবো ,আমরা সাথে থেকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা করছি। আমরা আশা করছি কিছুদিনে মধ্যে নড়াইলে কৃষিতে ফুলের সুবাশ বাইবে। এটা যে একটা লাভজনক ব্যবসা এই বাগই তার উদহারণ। আমরা চাই এই ফুল চাষে মানুষ আরো আগ্রহী হোক । তার মত তরুন উদ্যোক্তারা ফুল চাষে আগ্রহী হলে উচ্চ মূল্যের এই ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের রয়েছে নানা পরিকল্পনা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, ফুলের বাগানটি পরিদর্শন করে আমার অনেক ভালো লেগেছে। নড়াইলে এই প্রথম এই ধরণের এইটি ফুলের চাষ করায় উদ্যেক্তা ধন্যবাদ জানায়। ফুল স্বগীয় ফুল সব সময় মানুষকে আনন্দ দেয়। এর ব্যবহার কখনো শেষ হবেনা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন