জাতীয় ডেস্ক:
পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয় এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উগান্ডার কাম্পালায় ন্যাম সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠক করেন তারা। বৈঠকে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
স্থানীয় সময় বিকেলে উগান্ডার কাম্পালায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ন্যামের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
ড. জয়শঙ্কর এ বৈঠকে ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নতুন ভূমিকায় আসার জন্য অভিনন্দন জানান। উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয় এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়ার বিষয়েও আলোচনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন নয়াদিল্লি সফর নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ ১৯-২০ জানুয়ারি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনে এবং ২১-২২ জানুয়ারি ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এছাড়াও এদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ সম্মেলনের পাশাপাশি মিয়ানমার, নেপাল, বতসোয়ানা, বেলারুশ, কাতার ও ইন্দোনেশিয়ার সমকক্ষের সাথে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার, নেপাল, বতসোয়ানা ও বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যথাক্রমে থান সোয়ে, নারায়ণ প্রকাশ সৌদ, লেমোগাং কোয়াপে ও সের্গেই আলেইনিকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ড. হাছান অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় বিষয় ছাড়াও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া কাম্পালায় ব্যস্ত দিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখ এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী পাহালা নুগ্রাহা মানসুরিও সাক্ষাৎ করেন।
হাছান মাহমুদের সমপক্ষরা বাংলাদেশের নতুন সরকারকে এবং বিশেষ করে তাকে তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বলেও জানা গেছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) তার আরও কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের ব্যস্ততা রয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত এবং কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ তারেক প্রমুখ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।