জাতীয় ডেস্ক :
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নে ওমর ফারুক সোহেল (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সরকামতা গ্রামের সোহেল স্টোর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওমর ফারুক সোহেল ওই গ্রামের বজলুল হকের ছেলে। তিনি সোহেল স্টোরের মালিক ছিলেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন: সোহেলের দোকানের কর্মচারী রাসেল (২০) ও প্রাইম (২২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহেলের দোকান খুলে বসেন তার দোকানের কর্মচারী প্রাইম। বেলা ১১টার দিকে দোকানে আসেন সোহেল। এরপর দোকান থেকে বের হয়ে বাইরে যান প্রাইম ও রাসেল। এর কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে কাউকে দেখতে না পেয়ে ভেতরের কক্ষে গেলে সোহেলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান একজন গ্রাহক। পরে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
সোহেলের টেবিলের ওপর তার হাতের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। যাতে লেখা ছিল: ‘আমি যদি সবার মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, ছোট-বড় সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমি এখানে দোকানদারি করছি ২০ বছরের মতো, ছোট-বড় সকলে যেন আমাকে মাফ করে দেয়, প্রাইম ও রাসেল (দোকানের কর্মচারী) আমাকে ক্ষমা করে দিও।’
রায়হান নামের একজনকে উদ্দেশ্যে করে লিখেছেন, ‘রায়হান তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও, আর আমার মেয়েদের দিকে খেয়াল রেখো।’
নিজের জীবনের এমন অনেক আক্ষেপের কথা রবির ইজিলোডের একটি খাতায় এভাবে চিরকুট লিখে গেছেন তিনি।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, চিরকুটসহ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার দোকানের দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।